কলিংবেল বাজে।
দরজা খুলে দেখি কেউ নেই।
বেরিয়ে পড়ি,
খোঁজ করি চারদিকে।
আমার জন্মলগ্নে তোমার সংকেত শুনে
আর্তনাদ করি,
তারপর তোমায় খুঁজেছি, সমানে।
কলিংবেল বাজে।
এগিয়ে চলি শৈশব আর কৈশোরে
প্রকৃতির বাগানে।
কখনো হামাগুড়ি দিয়ে,
কখনো বা কল্পনার জাল বুনে
তোমায় খুঁজেছি।
কিন্তু বৃথা।
আমায় ডেকেছ,
মোহজালে আটকেছ,
তাই এগিয়ে চলি।
এবড়ো-খেবড়ো পথে হোঁচট খাই, বারবার।
চড়াই উৎরাই ভাঙতে ভাঙতে
ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
কলিংবেল বাজে।
যৌবনের মত্ততায় এগিয়ে যাই,
আলোর ছটা ছড়িয়ে পড়ে, চারধারে।
ভাবি, ঐতো, ঐখানে।
তোমার সন্ধানে বারবার মাথাকুটি ব্যর্থতার পায়।
হতাশায় বসে পড়ি পথের উপর।
কলিংবেল বাজে।
দরজা খুলি-
ধুসর পথ চলে গেছে দূরে, বহুদূরে।
দুপাশে সারি সারি গাছে হলুদ পাতা,
বাদামিপাতা ছিন্নভিন্ন হয়ে ঝরে পড়ে।
এগিয়ে যাই পায়ে পায়ে, বৃথাই সন্ধান।
নিরাশা ক্রন্দন করে অন্তরের মাঝে।
কলিংবেল বাজে।
দরজা খুলি-
চারদিকে শুধু অন্ধকার।
হারিয়ে যায় পথ,
হারিয়ে যায় মন,
শেষ হয় সমস্ত সন্ধান।