খুঁজেছে মানব তোমা যুগ যুগ ধরে,
স্বর্গ, মর্ত্ত্য, পাতালের আনাচে কানাচে।
নীলাম্বর ভেদ করে দৃষ্টি প্রসারিত,
আলোর ঝরণা যেন ব্যপ্তচরাচর,
কখনো বা মিশমিশে গাঢ় অন্ধকার।
কত শত অসহায় মানব মানবী
খুঁজেছে তোমায় সদা ক্রন্দনের মাঝে,
উল্লসিত হয় মন কখনো কখনো,
প্রতিবিম্ব ভাসে যেন আনন্দ-সাগরে।
ব্যথা-বিদীর্ণ হিয়া ক্ষণেকে ক্ষণেকে
মাথা তার নত করে দেবতার পায়ে।
স্বপ্ন কি ধরা দেবে চোখের সমুখে!
এ যে দেখি মরীচিকা, হঠাৎ মিলায়!
তোমায় খুঁজেছে পৃথ্বী দিবস-রজনী,
জীবনের পথে আর নানা ঘটনায়।
গাইছে তোমারি গান চলন্ত পথিক,
ক্লান্তি আর দুঃখ মাঝে অমৃতের স্বাদ।
শেষাঙ্ক এগিয়ে আসে গুটি গুটি পায়ে,
রঙ্গমঞ্চ সেজে ওঠে আলো-আঁধারে,
দীর্ঘপথযাত্রা শেষে বিষন্ন পরাণ,
অন্ধ সন্ধান করে আলোকের দেশ।