তুমি বলেছিলে,
কোকিলটা পাগল হয়ে গেছে।
নইলে এ ভরা গ্রীষ্মের মাঝে,
কেউ কখনো বসন্তকে খোঁজে?
কিন্তু তুমি ভালোমতই জানো,
কোকিলের কুহু আসে যন্ত্রণা হতে।


যন্ত্রণা ভুলতে অনেক কিছুই ঘটে।
কেউ সুর-সাগরে ভাসে,
কেউ বা অট্টহাসি হাসে,
সবাই কি পাগল এরা?
জবাব কিইবা আছে দেবার মত,
সব কথা উত্তরের প্রতীক্ষা করে না।


মাঝেমাঝে হারিয়ে যাই প্রথম কৈশোরে,
যেখানে যত্নে রাখা আছে চাঁদের স্মৃতি।
সেই ছবি, সেই মন, সেই ভালবাসা,
সবই মনে আছে।
মনে আছে বকুলের ঝরা,
কিংবা হরিণের আশ্রয়ে ধরা দেওয়া।


তবে সবই কি বলা যায়?
নীরব চোখের ভাষা,
নীরব ঠোঁটের আশা,
বা ফেরার নীরব ব্যথা,
বুঝতে পারে এমন মন খুঁজেছিলাম।
হয়রান হয়ে খুঁজেই যাচ্ছিলাম।


খুঁজে পেলাম আর এক পাগলীকে
যে ডুবতে জানে সাগর অতলে,
মুক্তোদানার সন্ধান পাবে বলে।
মাঝখানে বয়ে গেছে অনেক বছর।
কীট দংশনে ছিলাম জর্জরিত,
তারপর আলোর দিশারী বেশে এলে।


কিছু গোপণ করিনি আমি ভালবাসি বলে।
আমার প্রথম প্রেম ভুলে গেছি বলে
দাবি যদি করি কোনদিনও -
জেনো, তোমায় ভুলতে সময় লাগবে না।
সেখানে তোমার জন্যে শুধুই রয়েছে
মন ভরানো ছলনার পাহাড়।


স্মৃতির আড়ালে থাকা মনিমানিক্যকে
আঁখিকোণের মুক্ত দিয়েই সাজাতে হয়।
মাঝেমধ্যে একত্রিত করে
খোলাহাটে বসি যখন আমি একার।
যদিও বাইরে ভরা রোদ্দুর,
বৃষ্টি আমায় ভিজিয়ে দেয়, অবাক হই।


আজ তোমার বোবাকান্না নীরবে
আমাকে বুঝিয়ে দিল,
কোকিলটা পাগল নয়।
ও ওর ইচ্ছে মতোই বসন্ত খুঁজছে।
সত্যি করে বল দেখি,
ঋতুকে আঘাত কজনে করতে পারে?


বলো না কজন পারে...


যদি পাগলই না হয়....।