পরপর তিনদিনে প্রকাশিত লেখনীর
             অন্তিম অংশ
**********************


বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে গিয়ে -
রেকর্ড গড়ার দৃষ্টান্ত ওই রেখেছিল,
কি অসম্ভব জ্ঞান আর অনুভূতি ছিলো!
অথচ ভীষণ আপনভোলা ছেলে।
বিশ্বকবির প্রতি ওর শ্রদ্ধা -
স্মরণ করাতো আমাদের যেন,
ধ্যানমগ্ন এক সাগ্নিক পুরুষোত্তমকে।


বহূদিন পরে
আজ সোনার তরীর রবীন্দ্র শ্রদ্ধাবাসরে
ওরা পাশাপাশি একই আসরে।
এ পর্যন্ত ছাত্রাবাসের আন্তরিকতা,
আর অকৃত্রিম ভালবাসা,
মুগ্ধ করেছে মুক্তাক্ষরকে।


একটু আগে শেষ হয়েছে -
অবিনাশের ছোট্ট ভাষণ,
প্রতিটা বাক্যে কি আশ্চর্য সংযম!
কি অসাধারণ উপলব্ধি -
বিশ্বকবির সৃষ্টি ও কল্পনার সামঞ্জস্য প্রতি।
এখনও কানে ভাসছে যেন ওর কথাগুলো -
'গতিশীল জলদের ঊর্ধ্বে গমন
যেমন শেষ আশ্রয় খোঁজে হিমাদ্রি শিখরে,
আমাদের আশ্রয়ও তেমনই
উন্নত শিরে রবির কিরণ আলিঙ্গন। '


রোমাঞ্চিত মুক্তাক্ষর
অনুভব করছিল প্রতি পলে পলে,
সৃষ্টি সন্ধানে রবীন্দ্র ভাবনাকে
তাঁর চিন্তাধারা ছিলো কত দীপ্তিময়!
এ ভাবনা হয়তো -
মুক্তাের উপলব্ধিতে আসতোই না কখনো ,
সোনার তরীর আহ্বানে এখানে না এলে।


এবার বক্তা মুক্তাক্ষর।
ভাষন এক সময় ভালোই দিত সে,
এক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হলো না কিছুই,
অজস্র করতালিতে হারাতে..হারাতে..
মুক্তোর ভাষণ শেষ হলো।


আর কেউ না জানলেও -
মুক্তো কিন্তু জানে,
ওর গম্ভীর গলায় ভাষন ছিলো -
উত্তাল সাগরের দুরন্ত লহর,
তীরে বসা শ্রোতার মনে তরঙ্গ তুলেছে।


কিন্তু অবিনাশ!
নিজেই ডুবে ছিলো সাগর অতলে,
নিস্তরঙ্গ মনি মুক্তার গোপণ সন্ধানে।
অবিনাশ যা বলেছে -
সবই তার চেতনার রঙতে রঙিন।


মুক্তা আজ সব কিছুই  ধার করে গেছে
বিশ্বকবির অতুল সম্ভারেতে ডুব দিয়ে।


কিন্তু, আজ এতকাল বাদেও
তৃপ্তি খুঁজে পেল মুক্তাে
রবীন্দ্র সাগরে ঝাঁপ দিয়ে।
মুক্তাের বাসনা দল নবরূপে
প্রস্ফুটিত হলো,
এই পঁচিশে বৈশাখে।


নতুন ভাবনায় -
কলম তার ঘোরাতেই হবে,
জীবনের প্রতিটা ক্ষণ,
কি ভীষণ ভাবে বন্দী হয়ে আছে -
বিশ্বকবি মাঝে ,
বুঝলো তার অন্তরাত্মা থেকে ।
সোনার তরীর সাদর আহ্বানে -
বিশ্বকবি অনুসৃত এক প্রেমিকের
হৃদয় ঢালা শ্রদ্ধা  নিবেদনে।


                  সমাপ্ত