বাড়িটা খারাপ। অনেকেই বলে থাকে।
বহু আশা নিয়ে রাজবাড়িতে থাকবে
বলে, নতুন বউ এলো ছুটি কাটাতে।
দালানে দোলনাতে দুদিন না দুলতে
ভোররাতে আতঙ্কিত লাশ - কামরায়।
উত্তর নেই। অনেক স্মৃতি ভরা বাড়ি
আবার একলা। ভয়ংকর নীরবতা।


আগে টমটমের শব্দে - রমনীদের
আগমন বোঝা যেতো। ঘুঙুর বাজতো।
বাঁচবার আকুতি ভাসতো প্রজাদের
কানে। অর্ধশতক আগে ভোরে হঠাৎ
ভারী বুটের আওয়াজ। উগ্রপন্থীরা
ডেরা বেঁধেছিল। কিভাবে খবর পেলো
বিস্ময়! লাশগুলোর নজরে - আতঙ্ক ।


তবু সূর্য ওঠে, আলো দেয়, পাখি গায়,
কখনো বা দেখি দু একটা ডানপিটে -
দিনভোর ঘোরে গুপ্তধনের সন্ধানে।
কিন্তু অন্দরে না যাওয়াই - রেওয়াজ।
নিশ্চিন্তে ঝুমকোলতা লতিয়ে বাড়ছে।
কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া প্রাঙ্গণের শোভা,
যেন দুজগতে ওরা বিভেদ গড়েছে।


প্রাচীনযুগ থেকেই সাধারন শোভা
বারবার পরাভূত মানব সমাজে।
আজ ওরা বেশ শান্তিময় পরিবেশে।
সবুজের বাড়বাড়ন্ত দেখার মতো!
নতুন অবিঘ্নিত জগতের সন্ধানে
মলয়ানিলে রজনী সুবাস চর্চায়।
রাজবাড়ি মনে হয় ইন্দ্রপুরী যেন!