*তেষ্টা


তেষ্টা কিছুই মিটছে না।
ঢক ঢক করে আধ গ্লাস জল কাবার!
সমস্যা রয়েই গেল, বাকি জল -
আধা গ্লাস ভর্তি না আধা গ্লাস খালি?
মাথায় ঢুকছে না,
এ নাকি মনস্তত্ত্বের প্রশ্ন!
যত্তোসব বিদঘুটে কথা।
ভেবে ভেবে ভাবনা এক সময় ক্লান্ত।


ষ্টেশন থেকে বেড়োতেই আবার তেষ্টা।
আমার সামান্য দূরে হনহন করে
এক অত্যাধুনিক মহিলা,
হতেও পারে বউ বা কর্মব্যস্ত নারী,
ছাত্রী বা কারো প্রেমিকা,
চেনা দায়!
মোটের ওপর তেষ্টা অবিরাম।
মেটাতে সরবত।


বাসে উঠতে না উঠতেই তেষ্টা বাড়লো।
ওঠার আগেই পকেট ফাঁকা!
অবিশ্রান্ত ঘাম।
দুটি স্টপেজ পেরতেই হবে,
ঘুমের ভান করে কাটাকুটি!
নেমেই পিছনে দৃষ্টি , কেউ দেখে নি তো?
ফাঁকা পকেট বলে বিশ্রামে তেষ্টা নিবারণ।
ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া।
বন্দী মনের আকাশ দর্শন।


এ ভাবে প্রতি পদক্ষেপে ছল চাতুরীতে,
কতই না তেষ্টা আমাকে নিয়ে নাচে!
আমি জানি না আসল কোনটা।
মনের পিপাসা কিন্তু মেটবার নয়,
উর্ণনাভ জালে জর্জরিত।
তৃষ্ণাই কেবল আমার একান্ত আপন।
তাকে বিলিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত
শুধুই শব্দের কাড়াকাড়ি দিগন্তে বিস্তৃত।