একটি হোটেলে :


রাত দুপুরে চোখে রঙিন গ্লাস,
আড়ালে থাকার ব্যার্থ এ প্রয়াস,
শিরা ওঠা হাতে ভরা নীলগ্লাস,
                            শুধু লাল জলে
                           একটি হোটেলে।


শহুরে ভারাটে রাতপরী মেলা,
বসন সেও অতীব ঢিলে ঢালা,
ডিসকো গানে দুকান ঝালাপালা,
                            তবু খেলা চলে
                          একটি হোটেলে।


তারপর দেখি উন্মাদনা পালা,
কামনা ধূপ আজ আগুন জ্বলা,
বেসামাল পায়ে কোমরেতে দোলা,
                         নাচে তালে তালে
                           একটি হোটেলে।


গভীর রাতেই বন্ধ হয় খেলা,
শেষ হয় সে আধা জৈবিক লীলা,
দৃষ্টিতে সব লাগে এখন ঘোলা,
                           তাই মাথা টলে
                         একটি হোটেলে।


একটি বাড়িতে :


এবার দেখ্ছি অন্য পরিবেশ,
ঘোমটা ঢাকা বধূর তন্দ্রাবেশ,
মত্ত স্বামী কাটিয়ে হোটেল রেশ
                        শোবে বিছানাতে,
                          একটি বাড়িতে।


ঢুলু আঁখি সামনে সাজানো থালা,
অলঙ্কৃত কলঙ্কতে মন জ্বলা,
অজান্তে যদি আসে ফেরার পালা
                           কোন আচম্বিতে,
                            একটি বাড়িতে।


কবে পড়েছে রজনীগন্ধা মালা
মনে পরে না, সেদিন পথচলা
স্মৃতির অতলে মন নিয়ে খেলা,
                           পারে না সইতে
                          একটি বাড়িতে।


জানি না সেথায়  কি এমন সুধা?
মেটে না বধূর বুক ভরা ক্ষুধা,
তারই কাছে ধায় না মেনে বাঁধা,
                             কলুষ দৃষ্টিতে
                          একটি বাড়িতে।


দুই পৃথিবী বুঝি এক হবার নয়!