হঠাৎ-ই আঁতকে ওঠে মনিবের বুক
যে ধারণ করে আছে শৈশবের অনাবিল সুখ,
কে যেন লাথি মারে বুকের কপাটিকায়
চোখ পড়ে যায় অযাচিত যত স্মৃতির পাতায়।
বড্ড রাঙানো ছিল সেই বিকেলের সূর্য
কালের আবর্তে যা আজ পুরোটাই বর্জ্য।

নতুন বইয়ের মলাটের গন্ধ আর রবি ঠাকুরের ছড়া
শুরু থেকে শেষ পড়ে ফেলতুম ছড়াগুলো রসে ভরা।
কলম-পেন্সিল-খাতা-ড্রেস-জুতো সবই ছিল নতুন
চাইছি সেই দিনগুলো ফের নিতান্ত আগের মতন।


পলিথিনে তৈরি ঘুড়ি ,সাথে নাটাই সুতো
সুযোগ পেলেই ছুটোছুটি,পেলে বাতাসের ছুঁতো।
বৃষ্টি এলেই স্কেলের ধারে কচু পাতার বিচ্ছেদ
নিজের ছাতা ঠিক ষোল আনা, ব্যাঙের ছাতার উচ্ছেদ।


ডাংগুলি আর মার্বেলও তো খেলেছি সামান্য
মাতা শুনলে দিত বকুনি, গায়ে হাতও নগন্য।
টায়ারের গায়ে কষে লাগাতাম হাতের কাছের লাঠি
এ গ্রাম সে গ্রাম ঘুরে বেড়াতাম কিংবা গ্রামের মাঠ-ই।


চাঁদের বুড়ি আর আলাদিন-এর গল্প কত শত
মনে পড়লে ফিরে যেতে চাই, হৃদয়ে অনেক ক্ষত।
ফের পাবো কি সোনালী শৈশব টাকার বিনিময়ে ফিরি?
অত শত বুঝিনা শৈশব চাই, শৈশবের কাণ্ডারি।