আমি যখন ছোট্ট ছিলাম,
দিনে হাজার বার নিতে খোঁজ।
কতশত প্রশ্ন থাকতো আমার,
উত্তর দিতে তুমি রোজ।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে,
ছন্দে আনন্দে মাতিয়ে আমি,
চলতে চাইতাম নিজের মত করে।
তুমি বলতে ডেকে যাসনে খোকা ওরে,
পড়াশোনা না করে কোন কালে
বড় হয়েছে কে?
পড়ার সময় পড়া শেষ করে,
তোকে খেলতে বারন করেছে কে?
সোনালী জীবন আমার বসন্ত বিলাসী,
আমায় নিয়ে স্বপ্ন তোমার রাশি রাশি।
সৎ আর আদর্শে যেনো মানুষ হতে পারি।
সে আশায় বুক বাঁধতে দিয়ে হাজার কষ্ট পাড়ি।
বুঝতে দাওনি কভু বুঝতে চাইওনি ...
জীবনের বাস্তবতা কি?
তবু,তুমি আছো তাই,স্বপ্ন বুনে যাই।
দু'চোখের কোনায়।
হঠাৎ এক ধমকা হাওয়ায়,
এলোমেলো আমার গোছানো জীবন।
বোবা হয়ে গেছে মুখের ভাষা,
স্বপ্ন ভেঙেছে গুড়েবালির মতন।
কিছুই না বলে তুমি অজানায় দিলে পাড়ি,
সাজানো স্বপ্ন আমার ফুটপাতে আজ করে গড়াগড়ি।
এ বসন্তে আমার কে আনিলো,
ঘোর অমাবস্যার কালো?
এ অভিলাষী জীবন আমার,
কেমনে জলসালো?
আমার এ সুখের ঘরে
কে বুনিলো দু:খের বীজ?
কে পুড়িলো আমার
এ আনন্দের বাতিঘর?
যে স্মৃতিমাখা মুখ হারিয়েছি আমি,
বিভৎস কিঞ্চিৎ সময়ের ভিড়ে।
এতোটা বছর পেরিয়ে খুঁজি,
সেই প্রিয় মুখ, হাজারো মুখের ভিড়ে।
কতশত লোক,কোটিশত মানুষ,
ঘুরি ফিরি আপন মনে।
আর ছুটে চলি সেই চিরোচেনা,
একটি মুখের সন্ধানে।
আমি ছুটে যাই নদীর পাড়ে,
বসে থাকি সকাল দুপুর সাঝে।
প্রতিনিয়তই প্রশ্ন জাগে মনে,
কোথায় গেলে পাবো তোমাকে?
আমি ছুটে যাই গহীন বনে,
ফিরে আসি আবার শূন্য মনে।
আমি জনে জনে সুধাই,
আমার বাবাকে দেখতে চাই।
আমায় দেখে সবাই পালায়!
উত্তর বুঝি কারো জানা নাই?
চরম কষ্টেও আজ কাঁদিনা আমি,
অতি আনন্দেও মুখ চেপে থাকি।
আমি বিভোর মনে রাত্রি যাপন করি,
দিবসে অতি বিষন্নতার চারা বুনি।
হঠাৎ কয়েক ঘড়ি ধ্যানে মগ্ন থাকি,
লোকে ভাবে উন্মাদ হলো নাকি!
আমি তরুলতার কাছে ছুটে যাই,
বলি বাবাকে এনে দাওনা ভাই।
আমাকে বোঝার সাধ্য কারো নাই,
বলো কোথায় গেলে বাবা কে পাই?
আমি গভীর মনে আকাশের পানে তাকাই,
আমায় দেখে নক্ষত্র রা মেঘে ঢেকে যায়!
কত শত দিবস রজনী কেটে যায়,
বাবা এসে আজো ডাকেনা আমায়।
হাজারো বছর খুঁজতে চাই সেই প্রিয় মুখ।
কিছুই না বলে কেনো চলে গেল এতোটা দূর?
চোখে জাপসা চোরাবালি বুকে উত্তাল ঢেউ।
বাবা আসবে কবে আমায় বলে দাও কেউ?