এইতো সেদিন ছোট্ট ছিলাম,
ফাইভ কিংবা সিক্সে পড়া ছাত্র।
জীবনের তাগিদে ক্লাসের সবাই
হয়ে গেছে সবার মত করে ব্যস্ত।
সারাদিন আনাগোনা,বন্ধুদের মেলামেশা,
ছিলোনা খুশির কোনো অন্ত।
দিকে দিকে শৈশব কেটে গেলো,
সময়ের প্রয়োজনে সবাই আজ দূর দূরান্ত।
বন্ধুদের সাথে কথা কাটাকাটি,
একটু পরেই আবার একসাথে গলাগলি।
কাটতো সারাবেলা সারা দিন।
বাড়ি থেকে নিয়ে আসা দশ টাকায় ছিলো
আইস্কীম আর আচার খাওয়া রেগুলার টিফিন।
কতটা..বছর ফেরিয়ে গেলো
কত বেইচ এলো গেলো,
পুরোনো হয়নি আমাদের বন্ধুত্ব।
মাঝে মাঝে দেখা হয়,
ক্ষানিকটা সময় কথা হয়,
তবু যেনো মনে হয় একই বেঞ্চে বসে,
কাঁধে হাত রেখে চলার সে মধুর সম্পর্ক।
ক্লাস শেষে বাড়ি এসে ছুটতাম
ফুটবল নিয়ে হাতে,
মা পিছনে পিছনে ভাত খেয়ে যাও সোনা,
বলতে বলতে আসতো প্রায় মাঝামাঝি পথ,
কার কি আসে যায় তাতে...!
বৃষ্টি এলেই একসাথে ভিজেছি সবাই,
বানিয়ে কলা গাছের ভেলা৷
দলবেঁধে দেখতে যেতাম গ্রাম গঞ্জের,
পুরনো সেই বৈশাখী মেলা।
লাটিম ঘুরানো,ঘুড়ি উড়ানো,
এই নিয়েই কাটতো বৈকাল বেলা।
দলবেঁধে রংধনু দেখতাম বসে,
ঘনিয়ে এলে গোধুলি বেলা।
ঘন্টার পর ঘন্টা স্যাতরিয়েছি,
এক পাড় থেকে অন্য পাড়।
তাল পাতার পাংখা বানিয়ে,
দৌঁড়েছি মাইলের পর মাইল।
গোল্লাছুট,কানামাছি নিয়ে কেটেছে শৈশব।
স্মৃতির অন্তরালে ক্ষনে ক্ষনে মনে পড়ে সব।
বন্ধের সারা দিন চোক্কা ডান্ডায়
হয়ে যেতো দিন পার।
আর পুলের উপর থেকে লাফিয়ে
পানিতে পড়ার প্রতিযোগিতায়
হয়ে যেতো সন্ধ্যা পার।
এরপর বাড়ি ফিরে,
জামায় এক গাধা কাঁদা নিয়ে,
প্রায়ই খেতাম মায়ের বকা,
আর মাঝে মাঝে বাবার হাতে মার।
এইতো সেদিন শৈশবের বন্ধুদের নিয়ে
আড্ডায় মেতে রয়েছি যেনো সারা বেলা,
ক্যালেন্ডারের পাতা খুলে গুনে দেখি
এতো সেই অনেক বছর আগের কথা।
আজো উঁকি মারে সোনালী স্মৃতিগুলো,
সেই চিরো চেনা পুরনো মাঠ প্রান্তর।
দমে দমে ফুরিয়ে এলো জীবনের আয়ু
দেখতে দেখতে কেটে গেলো এতোটা বছর।
আহ্.............!!
কোথায় আজ সে মধুর সোনালী শৈশব..!
অতিতের দিনগুলো পুরোনো স্মৃতির পাতা।
ভাবতে ভাবতে আয়নার দিকে চেয়ে দেখি
মাথার চুল হয়ে গেছে আজ আধা পাকা।