উঠোন জুড়ে প্রবল প্রতাপে দন্ডায়মান ছিলো সপ্ত অমরাবতী,
পূর্ব জৌলুষ হৃত দমকা ঝড়ো বাতাসে,
নিরুদ্দেশ অন্দরে জমানো একশত আটটি নীল পদ্ম।
পলেস্তারা খসে ইটের উলঙ্গ শরীর যেন
মাংসল দেহ থেকে টেনে নিয়ে চামড়ার অপসারণ,
অতঃপর কিছু তরল গলিত কোষের বিদগ্ধ ক্ষরণ।
জানালার আরশিতে শত আঁকিবুঁকি
লোহার গরাদে আর্দ্র আয়রন অক্সাইডের দৌরাত্ম্য,
সান্ধ্য প্রদীপ আজ ধুঁকো প্রদাহের নামান্তর,
মঙ্গল ধুপে বিষাক্ত নিকোটিনের ঘ্রাণ,
অমরাবতী আমার অবহেলার কোপে আহত প্রতিনিয়ত,
পূজোর বেদির একশ আট নীল পদ্ম আচমকা অপহৃত।
হৃদয়ের সবটুকু প্রেম বুঝি আজ প্রগাঢ় হতাশায় গৃহবন্দী।
পাকস্থালী পূর্ণ নোংরা স্মৃতির তেতো ঢেকুরে,
ফুসফুস জুড়ে দীর্ঘ নেশার কর্মযজ্ঞে শাপগ্রস্ত ভস্ম-
মস্তিষ্ক নিজেই আজ অবলম্বন খুঁজে ফেরে।
অমরাবতীর অঙ্গনজুড়ে ক্লান্তি ভর করেছিলো নারায়ণ?
মায়াবলে আমার নীল পদ্মগুলো করিলে হরণ।
তোমাকেই দিলাম অর্ঘমাল্য চিরকাল, বুঝলে না তুমি,
অন্তিমে বোধ করি সবই আজ-পূর্ণ আভ্যন্তরীণ প্রতিফলন।।