প্রায়শই, আমরা দু'জন একসঙ্গে ছিলাম-
      প্রখর রৌদ্রের অগণিত আলোর মাঝে, মানববন্ধনে।
কিংবা,
      অমাবস্যাকালো অন্ধকারে - মশালের ছায়াতলে
  নানান দফা এবং দাবি নিয়ে, হাতে-হাত রেখে
            আমরা দু'জন একসঙ্গে ছিলাম, প্রায়শই ।


আমরা একসঙ্গে হয়েছি বৃষ্টিতে।
সবুজ মাঠবৃত্তে আমরা ভিজেছি, সবুজের আরোও কেন্দ্রে গিয়ে।


       আমার শরীরের সব রঙ তার সাথে মিশেছে,
তার শরীর রঙের ছিটেফোঁটায় -
                আসক্ত হয়েছে আমার মস্তিষ্ক এবং হৃদয়।
আমার এবং তার, আমাদের; সত্তায় পরিবর্তন এসেছে প্রতিবার।


আমরা মাঝেমাঝেই ঐক্য বেধেছি -
                সমরেশ,আজাদ,তসলিমাদের বুঝতে গিয়ে।
আমরা সমানুপাতিক হারে ঐক্য ভেঙেছি-
               কবিতার মর্ম উদ্ধারের উদ্দেশ্যে ।


সময়ে-অসময়ে আমরা বিতর্কে জড়াই,
              মঞ্চে কিংবা মনে।
একে অন্যের যুক্তিতিরে ক্ষত-বিক্ষত হই।
ভেঙে যায় দুষিত বিশ্বাস, দাসত্বের চেতনা।
বিধ্বস্ত এবং ছাই হওয়া মননে
                                    আমরা আবারও নগর গড়ি।


               নগর থেকে সাম্রাজ্য...
                   এরপর এক-একটি ছায়াপথ...
    ধারণ করি নিজেদের মাঝে ।


আমরা দু'জন স্বপ্নেও এক সাথে, যুগলবন্দী।
             কল্যাণময়ী স্বপ্ন অথবা দুষিত ভ্রম
        উভয়কেই আমরা আমন্ত্রণ জানাই,
পবিত্র এবং অশুচির সংজ্ঞা আমরা জানি না।
আমরা উভয়কেই নিমন্ত্রণ করি ।
             তবে গ্রহণ করি শ্লীলতাকে শুধু।


শ্লীল-অশ্লীলের প্রতয়ণপত্র আমাদের দেয়া...।


একতায় একত্রিত হলেও,
আমরা শৃঙ্খলিত হই নি।
শৃঙ্খল-শিকল-মহাকালের কপাট আমাদের জন্য নয়।
নগ্ন হয়ে হাতুড়ি-কাস্তে-লাঙল দিয়ে ভেঙে ফেলেছি সব বাঁধ ।
যুক্তি-অপযুক্তি-কুযুক্তি,
মানবতা-পাশবিকতা-পৈশাচিকতা,
বিশ্বাস-অপবিশ্বাস-অন্ধবিশ্বাস,
যুদ্ধের হাতিয়ার-ভালবাসার আলিঙ্গনকে
                   সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছি বাঁধ ভাঙা জলের সাথে।


        আমি এবং আমি, আমরা দুজন।
                 দুজনে প্রায়শই এক হই!


----
মে ১১, ২০১৪
বিকাল ৪টা ২২
এক যোগ এক, একজন ।
ফাহিম শিহাব রেওয়াজ