ছেলেটা ভীষণ দুর্বল ছিল
ছেলেটা ভীষণ ভাবুক ছিল
ছোট ছোট কষ্ট তাকে ভাবিয়ে তুলতো,
কারো একটু খানি উপেক্ষায়
তার চোখ ভিজতে উঠত।


গণিতের মারপ্যাঁচ সে বুঝতনা
পদার্থের সূত্র, রসায়নের খুটিনাটির প্রতি
তার ছিল তীব্র অনীহা!


কিন্তু, ছেলেটির চোখে অনেক স্বপ্ন ছিল
স্বপ্ন পূরণের সদিচ্ছা ছিল,
স্বপ্ন দেখত মনের সাথে কথা বলার
স্বপ্ন দেখত মনের কথা শুনবার
স্বপ্ন দেখত সে
সকল উপেক্ষার দাঁত ভাঙা জবাব দেয়ার
কিন্তু লোহার কান যে তার ছিলোনা!


ছেলেটা লক্ষ্যের প্রতি প্রত্যয়ী ছিল
এগুতে চাইতো দৃঢ় সংকল্পে।
কিন্তু বারবার পিছিয়ে পড়ত
কখনো ব্যর্থতার গ্লানির ভয়ে,
কখনোবা সমাজের ভয়ে।


ছেলেটা একদিন খুব করে কাঁদতে চাইল
ব্যর্থতার কান্না, উপেক্ষার কান্না, আক্ষেপের কান্না
খুব ক্ষুদ্র অভিমানের কান্না,
কিন্তু সমাজ হেসে উঠে বলল,
পুরুষ মানুষের আবার মেকি আবেগ!


সত্যিই কী তাই?
সে প্রশ্ন করল নিজেকে
প্রশ্ন করল নিজের পুরুষ সত্তাকে
তবে কী পুরুষের আবেগ থাকতে নাই?


ভেতরটা কুঁকড়ে গেলেও
পুরুষ থাকবে ইস্পাতের মতো দৃঢ়!
ভেতরটায় ঝড় বয়ে যাক না তাতে কী?
সে তো পুরুষ!  
মেকি আবেগের উর্দ্ধে উঠে যাওয়
বিস্মিত এক পুরুষ!