ক্ষণিক বর্ষণের প্রতিক্ষায় বেলা কাটে।
ক্ষণকালের সকল ব্যাস্ততার পর আসবে সেই বর্ষণ।
নির্লজ্জ অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে কবে?
এ বেলায় উত্তপ্ত পৃথিবীর মৃত্তিকা একটু আর্দ্র হবে না?
এ বেলায়  মৃত্তিকার সকল আবর্জনার কপালে একটু ভাজ পড়বে না?
এ বেলায়  বাতাসে ভাসা দুর্গন্ধের সলিল সমাধি হবে না?
এ বেলায় কাঠখোট্টা নীল আকাশে রংধনু আসবে না?
এ বেলায় পরিস্কার আকাশ ছেয়ে যাবে না কালো মেঘে?
আর কতকাল?
কতকাল ঐ বিরস বৃক্ষের পাতায় জমতে থাকবে  ধুলো?
কতকাল?


সে অনেক আগের কথা।
একদিন এই বিবর্ন ধরনীতে নেমেছিল বৃষ্টির রিম ঝিম ধারা।
ক্ষণকালের সেই বর্ষণে ফুসে উঠেছিল সমুদ্র।
শুকনো নদীর বুকে জলকাব্যের আসর বসেছিল।
শুকনো মেঠোপথে জেগেছিল নতুন কাদার উল্লাস।
ক্ষণকালের সেই বর্ষনে ভূপৃষ্ঠের সকল কুৎসিত আবর্জনা নিয়েছিল অশ্রুসিক্ত বিদায়।
ক্ষণকাল।শুধুমাত্র ক্ষণকালের জন্য।


অতঃপর মিষ্টি রোদ ওঠে।
মিষ্টি সোনালী রোদ প্রখর থেকে আরো প্রখর হয়।
আস্তে আস্তে জন্ম নেয় নতুন আবর্জনা।
মৃত্তিকার মায়ায় ছুটে আসে
অগণিত ধুলিকনা।
অগণিত দুঃখ
অগণিত হতাশা,
অগণিত ঘৃণা।
উত্তপ্ত বাতাসে ছড়াতে থাকে বিষ।
কিন্তু সেই অতি আকাংক্ষিত বর্ষণ আর আসে না।


ক্ষণকালের সেই বর্ষণের জন্য অপেক্ষার পালা শেষ হবে কবে?
আকাশ জুড়ে দেখা যাবে নতুন আশার কালো মেঘ।
কবে?