ব্যস্ত ছিলাম নানান কাজে
সময় পাইনি বইটা ধরার।
টিভি দেখে আর ফোন ঘষে
সময় পাইনি পড়া করার।


কত কাজ যে আছে বাকি
কোনটাকে যে কোথায় রাখি!


কাল রাতেতে পরে শোওয়ায়
ঘুম ভাঙলো বেশ দেরিতে।
প্রচুর ঘুমে ক্লান্ত হয়ে
বসিলাম আমি যে পড়িতে।


হঠাৎ দেখি পাঁচটা মেসেজ
উঁকি মারছে ফোনের কোণে।
তার সাথে সেই ফেবুর ডাকটা
পাঠায় আমায় অন্যমনে।


মনে পড়ল, আজ টিভিতে
সিনেমাটার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার।
বই খাতা তাই সরিয়ে রেখে,
বসে পড়ি নিয়ে যে চেয়ার।


আজকে হঠাৎ ইচ্ছে হল
আঁকার খাতায় আঁকতে কিছু।
কিছু না হোক- আঁকি বেড়াল
চলছে চুহার পিছু পিছু।


সব শেষ হতে বসি নিয়ে
লাইব্রেরি থেকে আনা বই
পড়তে পড়তে এতই বিভোর
সময় হারিয়ে গেল যে কই!


তার পরেতে সন্ধ্যেবেলা
জানতে পারি যেতে হবে
নেমন্তন্ন বাড়িতে যে-
সেখানে খাওয়া দাওয়া হবে।


ফিরতে ফিরতে হল বড় রাত
ঢাউস ভুঁড়ি নিয়েই ধপাস!
শুতে গিয়েই পড়ল মনে-
পড়তে হবে! ওরেব্বাস!


মা তখুনি দিলে বকে
পড়তে বসি ঢুলু চোখে।
তারপরেতে কখন যেন
ঘুমপরি দেয় চক্ষু ঢেকে।


তাই তো পড়তে হয়নি বসা।
তাই তো আজকে এমন দশা
তাই এ মুখে নেই যে ভাষা।
তাই তো সবাই হাসছে খাসা।