সাড়ে চার বছর পর পাবলিক লাইব্রেরীতে
তোমার মুখাপেক্ষী হব তা ভাবিনি কখনো
যেই কবির চোখে তেজের রক্তরা আওয়াজ তুলত
সেই কবিকে এভাবে শীতল হতে দেখে আমি স্তব্ধ।
মিছিল,মিটিং,ফেস্টুন,ব্যানার নিয়ে কাটত তোমার দিন
সন্ধ্যায় রোকেয়া হলের সামনে স্বপ্নকন্যার চুলের ঘ্রান নিতে।
চেনা পথ,চেনা গলিতে কত্ত ছুটোছুটিতে মেতে থাকতাম আমরা!
চেনা শহরের অলি গলিতে আজ ও স্বপ্নকাব্য হয়ে রয়েছে সময়।
হঠাত একদিন তুমি আমাকে স্বার্থপরের মত দূরে ঠেলে দিয়েছো
পাষন্ড মানবের মত ধিক্কার জানিয়েছো আমার কোমল ভালবাসা কে!
সেদিনের ব্যর্থ হয়ে ফেরার পর থেকে
প্রতিটি ক্ষনে ক্ষনে তোমায় ঘৃনা করে এসেছি
তোমার স্বপ্নকন্যা তোমার সকল স্মৃতিকে পুড়িয়ে ছাই
করে ঘোলা জলে ভাসিয়ে দিয়েছে বৈকি!
যে কবির চোখে চোখ রেখে হাজার স্বপ্নের নেশায়
মাতাল হতাম আমি
সেই কবিকে এতটা ঘৃনা করে দূরে সরে যেতে হবে
তা ছিল অকল্পনীয়।
কবি,আজ সাড়ে চার বছর পর
তোমাকে সামনা সামনি দেখে আমার
হৃদয়ের কোণে কে যেন ধারালো ছুরি দিয়ে
আমার হৃদয়টাকে শত ক্ষত করে দিচ্ছে।
আজ সময় হারিয়ে আমি বুঝতে পেরেছি
পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে
কেনো সেদিন আমাকে শুন্য হাতে বিদায় দিয়েছিলে
কেনো তোমার চোখে তাকিয়ে মাতাল হতে বারন করেছিলে
আজ তোমাকে হুইল চেয়ারে অবস্থানরত না দেখলে
স্বপ্নকন্যার পাষান হৃদয়ের চেতন হতোনা কোনদিন।
আমার সুখের কথা ভেবে সেদিন আমাকে পচনশীল
পদার্থের মত দূরে ফেলে দিয়েছিলে
অথচ আমাকে হারানোর ব্যাথা সহ্য না করতে পেরে
আজ ও কষ্টের সাগরে ডুবে ডুবে দিনাতিপাত করছো
একাকীত্বের হাহাকার ভরা তোমার জীবন
শুন্য ঘর,একটি চৌকি,একটি থালা,গ্লাস আর দুটি পাঞ্জাবী
ছাড়া আর কাউকে সঙ্গী করোনি তুমি
অথচ আমি ভালোবাসার চাঁদ,তারা সবশুদ্ধ গিলে খেয়ে
সুখের সায়রে সাতরাতে সাতরাতে ক্লান্ত,শ্রান্ত!
কবি,তোমার স্বপ্নকন্যা তো এমনটা চায়নি
আমাকে মনের সাথী নাইবা করতে,তোমার হুইল চেয়ারের
দুটি হাতল ধরার সাথী তো করতে পারতে।
তোমার ভালবাসার কাছে বরাবর ই পরাজিত হয়ে
গেলাম আমি,পরাজিত হল তোমার স্বপ্নকন্যা।