বিপদে আছি-০৮
তারিখ :১০/০৪/২০১৮...



কবিতার আড়ালে রাজনীতি বেশী রকম শিকড় খুঁজছে। যারা প্রকাশ্য হতে পারে না। তারা কবিতার মধ্যে আশ্রয় খোঁজে। তারা মনে করে তারাই তাদের উদ্দেশ্য বুঝে। আর কেউ বুঝে না। কবিতা লিখতে না পারলেও গেটিস মেরে কবিতা বানানোর খুব চেষ্টা করে।


মন থেকে মহৎ হওয়া মোটেও সহজ নয়। ‘শিকারী বিড়াল গোঁফে চেনা যায়’। কার আড়ালে কী ! খুব বেশী পড়তে হয় না। বোঝা যায়।


অবশ্য বিষয়টি খারাপ না। রক্তারক্তির চেয়ে বোদ্ধা হবার চর্চা ।  এটা অনেক ভালো মনে করি। তবে অনেকের ভেতর দারুণ অন্ধত্ব বাসা বেঁধে আছে। যেখানে মানুষ মুখ্য হয়ে ওঠে না তাদের কাছে। অনেকেই কবিতা চর্চা করে তার আড়ালে নিজের কিছু বিশ্বাসকে  মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটাই তাদের মুখ্য হয়ে ওঠে। অথচ একজন সত্যিকার কবিতা কর্মীর কাছে কবিতা চর্চাই বেশী মূল্যবান।  


কবিতার কাছে নানা রকমে আশ্রয় পাওয়া যায়। এটা খুব ভাল লাগার বিষয় আমার কাছে। যে কোনো বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে না পারলে। কিছু মানতে না পারলে। সেখানে কবিতার আশ্রয় কিছুটা শান্তি বা স্বস্তি দেয়।  


অনেকেই আছেন হুট করে একটা কবিতা পড়ে এমন মতামত রাখলো। মনে হলো কোনো ভারী বোদ্ধা কবিতার। আমি প্রথমে তার কবিতা ভাল মত মনযোগ দিয়ে পড়ি। তারপর আর তাকে বুঝার বেশী কিছু থাকে না। বিষয়বস্তু থেকে কত  দূরে অবস্থান করে সেই ব্যক্তি বলার অপেক্ষা থাকে না। আবার তার বিষয়ে অন্যেরা বুঝে ফেলে এটাও তার বুঝার সামর্থ  থাকে না। সে তার মত করে চলতে থাকে।
অবশ্য অনেকেই আছেন কেবলই নতুন করে কবিতা চর্চা শুরু করেছেন। তাদের  কারো কারো মধ্যে  আইনস্টাইন ভাব থাকে। যেনো সব কিছু অন্যের চেয়ে বেশী বুঝেন। অবশ্য এটি সত্যিকার কবিতা কর্মীর থাকে না।


মাঝে মাঝে আমার কবিতা পোষ্ট করলে তাড়াহুড়া বা কম্পিউটার জণিত কারনে অনেক সময় নেট সমস্যা বা ধীরগতি হলে অনেক সময় ভুলভাল বানান থেকে যায়। আমি হয়তো সেটা পরবর্তী  তিন চার দিন সেটা দেখে অনেকটা সংশোধনও করার মধ্যে থাকি। তো দেখা যায় অনেকেই আমাকে পরামর্শ  দেন। ভাল লাগে বিশেষ করে যুক্তিক পরামর্শ
যেগুলো।


অনেকে আছেন পরামর্শ দেওয়া বানানও ভুল লিখে। মাঝে মাঝে কারো কারো মন রক্ষায় আমি ী এর স্থলে ই-কার ব্যবহার করি। অবশ্যবর্তমান অভিধানে দুটোই ঠিক। কিন্তু  উচ্চারণে এই দুটোর গুরুত্ব ভিন্ন। সে যাই হোক। কবিতার কিছু নিজস্ব সুর আছে। কবিরও কিছু নিজস্ব সুর বা শব্দ আছে। যেটাকে কী ওয়ার্ড বলা যায়। বা অনেকের কাছে এটি তার গোপন শব্দ। এই কী ওয়ার্ড  ব্যাপারটা অনেকেই বোঝেন না। উল্টো না বুঝে তার গতানুগতিক পরামর্শ  সে দিয়েই যায়। আমাকে একবার কবি শেখ সামসুল হক বললেন : তিনি নাকি ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর ওনার এক শিক্ষক পরামর্শ  দিলেন যেহেতু কবিতা লেখো বাংলা অভিধানটা ভাল করে মুখস্থ করে ফেলো। যেই মতে সেই কাজ। তিনি ফলাফল প্রকাশের তিন মাস সময়ে চলন্তিকা অভিধান মুখস্থ করে ফেললেন। আমাকেও তিনি সেই পরামর্শ দিলেন। তো আমি এই একটানা তিন মাস সময় তো পাইনি। আমি জীবনের চলতি পথে সেই চেষ্টা করে গেলাম অনেক দিন। কিন্তু খুব সতর্ক থাকার পরও শব্দের বানান মাঝে মাঝে এলোমেলো হয়ে যায়। যেটা একজন কবির বিশেষ করে কবিতায় হওয়া উচিত নয়।


এই সাইটে মাঝে মাঝেই দায় থেকে কবিতা পড়ি। কেননা যারা কষ্ট করে আমার কবিতা পড়ে। তাদের কাছে ঋণ থেকে যায়। তারাইতো আমার কবিতার শিক্ষক।


(চলবে )