একাত্তরে একবার অন্তর্বাস খুলতে হয়েছে
নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে
উর্দি পরা সিপাহী রাতের আঁধারে
হাতের একবিঘা লম্বা টর্চ জ্বালিয়ে
ধর্ম পরীক্ষা করছিল
চোখে কম দেখা মোছওয়ালা সিপাহী
স্বাধীনকে বলল অন্তর্বাস খুলে দেখাতে
জীবন বাঁচাতে পরাধীন স্বাধীন খুলতে বাধ্য হয়
অন্তর্বাস আগলে রাখে কতকিছু; ধর্ম-কর্ম
ঢেকে রাখে অজানা হাওরের দুঃখ কথা
হাহাকার মনে বোধের ভিটায়
খাবি খায় অচেনা-অদেখা ঋতু বৈচিত্র্য


অন্তর্বাস বিপ্লবে দিয়েছে প্রশান্তি
সব পোষাক-আশাক উড়ে গেছে
অপদার্থদের অত্যাচারের ঝড়ে
গুড়িয়ে গেছে ঢেঁকিকলে স্বপ্নরা
বিজ্ঞাপনের ভাষ্যে হাজারো বৈশিষ্ট্য
সকলেরই পরিচিত পরম যত্মের বিষয়
তবুও কত বিচিত্র কথা লুকানো থাকে
রঙ-বেরঙের দ্বিকোণ-ত্রিকোণ ভাঁজে
দর্জি দক্ষ হাতে রাজা-রানী
আপামর জনসাধারণের জন্য
পৃথক নিয়মে তৈরী করে যায়
চলতে ফিরতে আরাম-আয়েশে অনন্য
হ্যামার ফাস্ট হতে পুয়োটো উইলিয়াম
বিস্তৃত জায়গা জুড়ে অন্তর্বাসের চারণ ভূমি
বিপদের প্রাথমিক রক্ষাকবচ


টগবগে যুবক স্বাধীন ভয়-রাগ আর ক্ষোভে
দীর্ঘ সময় চুড়িদার পায়জামা পরে অন্তর্বাস ছাড়াই
ভাবছে আর বেশি আস্থা নেই তাতে
দামিনীকে কোনই সুরাহ দেয়নি ;
আগ্নেয়গিরির গরলে অন্তর্বাস অর্থহীন
হাতের শাঁখা-সিঁদুরেও প্রমাণ মেলেনা সমাজবন্ধন
কী এক ঘোড়দৌড় সময় এখন কাটছে ঘরে বাইরে
সময় এসেছে নিকাহ্‌নামা সঙ্গে রাখার
একাত্তরে খুঁইয়েছে অন্তর্বাস
ইদানিং মগজের বোধ
অন্তর্বাস-শাঁখা-সিঁদুর এখন প্রতীকীহীন
এসব তৈরীর কারখানা দেউলিয়ার অপেক্ষায়
ইবাদতি ধর্ম কতদূর নিয়ে যাবে...
আর কত বার অন্তর্বাস খুলতে হবে
বলো তো ধর্ম কার জন্য;
মানুষের জন্য -
না হটকারী ধর্মবণিকের জন্য ?