(মৃত্যু অমোঘ নিয়ম এই মাটির পৃথিবীতে।
তাই জগতের আর এক নাম মৃত্যুলোক। কে কখন
চলে যাবো কেউ জানেনা। তাই এই কবিতাতে বিরহের
সাথে চিরন্তনতা মেশান)


যখন আমি আর ধরায় থাকবোনা
তুমি থাকবে কি বসে হ’য়ে আনমনা?
ঝরবে কি ডাগর চোখে অনাবিল জল!
স্মৃতি-সাগর কোরবে কি বিরহে টলটল!
যদি থাকে রাগ কারো কোন একদিন
ভালোবাসা-টুকুতেই শোধ হবে সব ঋণ।
ওরা আসবে কি চাইতে সেদিন মার্জনা!
কোরবে কি ওরা আত্মার শান্তির প্রার্থনা!
চলে যাবো তাঁর সীমাহীন হরিতের দেশে
যেখানে জগতের সকল মৃতরা এসে মেশে।
সারা দেহে সাড়া তুমি আর কখনো পাবেনা
ডাকবে নামটি ধরে তবু আর দেহে ফিরবনা।
এ সংসারে যারা ছিল কাছের চির পরিচিত
হাসি কান্না সবেতে যারা পাশে ছিল অবিরত।
তাদের বোল তুমি, ’’ওরে ওরে কান্না রাখ-
যে চলে গেছে তার মায়া সকলে ভুলে যাক।
মাত্র ক-দিনের মিছে জগৎ সংসারের খেলা
চির মৃত্যুতেই শেষ হয় তার মিলনের মেলা।
তবে কেন ঠুংকো পার্থীব এই ভালোবাসা?
কেন ভুল করে গড়ি এতো সাধ এতো আশা?
যদি তুমি চলে যাবে মহা অনন্তের চির ঘরে
তবে কেন মিললে সকলের অন্তরে অন্তরে?
জগতে শেষ হয় যদি সব, অমোঘ মরণে
এসোনা আর কোনদিন তুমি ভঙ্গুর ভুবনে’’।
না-গো প্রিয়তম!তুমি স্মরণে রেখো আমাকে
জন্মান্তরে আবার আমি দেখবো যে তোমাকে।