সেদিন ছিল বিদায় বেলা
বৃন্দাবনের শোক,
সবার মনে উঠলো ঝড়
ভরলো জলে চোখ।
কেঁদেছিল ভূমি মাতা
কাঁদলো গরীব ধনী,
পথের পারে লুটিয়ে কাঁদে
ক্লান্ত সন্ধ্যামণি।
রাধারাণী হাতে লয়ে
প্রিয় কৃষ্ণ বাঁশি,
যমুনা আজ মাথা কুটে
দুকূল যায় ভাসি।
চলে গেছে প্রাণের কৃষ্ণ
বৃন্দাবন ছাড়ি,
স্নেহ, মায়া, ভক্তি, পূজা
তুচ্ছ হলো ভারি।
হঠাৎ পরলো কৃষ্ণ বাঁশি
কালো যমুনা জলে,
রাধা কহে দাও বাঁশি
হাতের পরে তুলে।
যাবার কালে মোর কৃষ্ণ
বাঁশি দিল তুলে,
প্রাণের চেয়ে অধিক প্রিয়
কেমনে যাই ফেলে।
যমুনা বলে নাহি দেব
বাঁশিতে প্রভুর ছোঁয়া,
তব মিনতি শুনবোনাকো
নয়তো ছেলের মোয়া।
বাঁশির তরে রাধারাণী
ঝাঁপায় কালো জলে,
যমুনা ছুটে রাধা পিছে
সকল বিপদ ভুলে।
ছুটতে ছুটতে মোহনা কোলে
ফসকে পরে বাঁশি,
মোহনা বলে আর দেবনা
দিয়ে ক্ষণিক হাসি।
বিষম গোল বাঁধলো যখন
বাঁশি ছিটকে গেল,
অনন্ত সেই নীলাচলে
বাঁশি উধাও হলো।