তারাবাবুর যমজ নাতি
   জন্ম দিনে এসে,
বলে দাদু চাই উপহার
   ফোকলা দাঁতে হেসে।


দাদু বলেন ঠিক আছে
   সন্ধ্যাবেলায়  দেবো,
তার বদলে মনে রাখিস
   পরিক্ষা এক নেবো।


মনে মনে ভাবলো দাদু
   ইচ্ছে আছে এক,
মনে তাদের চলছে কিযে
   খুঁজে দেখা যাক।


দোকানে গিয়ে কিনে আনেন
   কবিতা,গল্পের বই,
খেলনাও কিছু নিয়ে বলেন
   করবিনা হৈচৈ।


সাধু চাঁদু ছয় বছরের
   বড় দুরন্ত তারা,
কোনো জিনিষ রাখেনা আস্ত
   গোলমালে ভরা।


সন্ধ্যা বেলায় নাতিরা এসে
   বলে উপহার দাও,
দেরী আর হয়না সহ্য
   এনেছো কি দেখাও।


দাদু বলেন দেবো তোদের
   চিন্তা কেন অতো,
এখন পাবি একটি করে
   যে যার মনের মতো।


টেবিলের উপরে আছে রাখা
   অনেক উপহার,
একটি করে কি নেবে
   ভাবে বারবার।


সবার আগে চাঁদু ওঠালো
   রিমোর্ট কন্ট্রোল কার,
সেটা পেয়ে ভীষণ খুশি
   হাসি ধরেনা তার।


দাদু বলেন বলতো চাঁদু  
   কি আছে এই কারে
যাকে পেয়ে তোর হৃদয়ে
   খুশি নাহি ধরে?


চাঁদু বলে সব বন্ধু
   রিমোর্ট কারে খেলে,
ধন্যবাদ তোমাকে আজ
   আমায় আজ দিলে।


এবার সাধু নিতে যায়
   তার উপহার,
অনেক ছিল বই সেথা
   একটা নিল তার।


বলে দাদু সোনা আমার
   নিলিনা কেন খেলনা?
বই পড়ে কি হবে
   খুলে আমায় বলনা!


সাধু বলে বইএর মধ্যে
   লুকানো হাজার চমক,
জানতে হবে অনেক তথ্য
   শুনবোনা কোরো ধমক।


দুজনকেই দেখলো দাদু
   খুঁজলো মনের ভিতর,
পরীক্ষাটাও করলো ওদের
   বুঝলো সে সত্বর।


দুজনকেই বলে দাদু
   বইগুলো নিয়ে যাস,
একটি করে কবিতা,গল্প
   ঘুমের আগে শোনাস।


হেসে বলে নাতিরা তখন
   পরীক্ষা সহজ বেশ,
ঘুম পাড়ানি লেখার সাথে
   দাদুর ঘুমের রেস।