তুই যেদিন এলি ঘরে, ভাঙলো সুখের বাঁধ!
তোর রূপে হেরে ছিল, সোনালী পূর্ণ চাঁদ।


আঙিনা জুড়ে ছুটে ছিল,  রঙের ঘনঘটা,
মনের আকাশ ভরেছিল রামধনুরই ছটা!


ফিঙে দোয়েল তোকে দেখে, খুশিতে দিল শিষ
সবাই তোকে দিল এসে, এক বুক আশিস্।


দীপ জ্বলা লক্ষ মাণিক শরৎ শিশির রাত!
বরণ তোকে করে নিল, নব কুসুমের প্রাত।


একপা দুপা ছুটলি যখন, বাঁধা আমি সাথে,
হোঁচট খেলে আগলে নিতাম, জীবন চলার পথে।


বুকের মাঝে ভিড় করা, স্বপ্ন আলোয় মিশে,
তোর হাসি মেখে ছিলাম স্বর্গ সুখে ভেসে!


ধীরে ধীরে জাগলি তুই, পাঁজরে আশা গাঁথি...
তোকে করলাম লাঠি আমার, অন্ধ মনের সাথী!


একটি দিনের তরে কভু, ছাড়িনি তোর হাত,
কেমন করে ছাড়লি মোরে, দিলি তিক্ত আঘাত!


কে আমার ধরবে হাত, অতি দুর্গম পথ!
আঁধার ঘিরে প্রতি পদে, ভাঙলি তোর শপথ।


তোর কাছে চাইনি কিছুই, শুধু তৃষার জল,
আঁধার পথে ফেলে দিলি, কি দোষ ছিল বল?


কঠিন কফিনে বন্দী রেখেছি, তোর স্বপ্ন দামী!
যত্নে তুলেছি হিম ঘরেতে, দ্বারে প্রহরী আমি।