ভোরেই আজ নিদ্রা ছুটেছে
   এসেছে খুশির ঈদ,
খুশির পরশে কেটেছে মনের
   বন্ধ দ্বারের সিঁধ!


লাল জামাটা টাঙানো দূরে
   দেখলো না সে ঘুরে,
দৃষ্টি কেবল ছুটে গিয়ে
   দ্বারের উপর পরে।


প্রতীক্ষায় তার কাটছে প্রহর
   সময় যায় বেগে,
ঘণ্টাগুলো খুব বেহায়া
   বাজে সময়ের আগে!


ফিরনি কাবাব সেমাই পায়েস
   সবযে লাগে তিতো,
সময় কেবল দ্রুত চলে
   আসেনা ফিরে সে’তো!


মা বলে কিরে সোনা
   মুখটা কেন ভার?
কিসের দুঃখ খুশির দিনে
   বলনা কারণ তার?


বলে ছোট্ট খুকুমণি
   সত্যি করে বলো?
তোমার চোখের কোণগুলো
   লাল কেন হলো?


যাকে আমি ভোর থেকে
   সারা মনে খুঁজি!
তার জন্য লুকিয়ে কাঁদো
   সেতো আমি বুঝি।


মা মেয়েকে জড়িয়ে বলে
   কিআর করি বল?
তোর বাবাযে এমনি মানুষ
   করে মোদের ছল!


ঈদের চাঁদ জাগলো আবার
   সন্ধ্যা আলোর ফাঁকে,
দরজাতে কে যেন ঐ
   কড়া নেড়ে ডাকে?


বুকে তাদের হিম স্রোত
   ছুটে গেলো দ্রুত!
শহীদ বাবা ঘরে এলো
   যুদ্ধে তিনি হত।


ঈদের চাঁদ ছড়ালো আলো
   পড়ল শহীদ মুখে!
পড়ল  চাঁদ লাল জামায়
   কান্নায় ভাঙা বুকে।


ঈদের চাঁদ বলছে ডেকে
   কান পেতে শোনো!
যুদ্ধের মন করো নিকেষ
   নইলে বিপদ যেনো।


যুদ্ধ শুধু ক্ষয় বহে
   জীবন রিক্ত হয়,
যুদ্ধের পথে মানবতাকে
   ঘিরে থাকে লয়।


চাঁদটা সেদিন ঐ পাড়াতে
   ফিকে হয়েছিল!
দুফোটা জল চোখের কোণায়
   সত্যি লেগেছিল!