ঠিকানা হারিয়ে শ্রাবণের মেঘ, অচেনায় ভেসে রয়,
   দলছুট হয়ে অনন্তের পানে, বুকে সঞ্চিত ভয়!
অচেনা পথে হারায় দিক মনেতে ব্যকুলতা,
   উদভ্রান্ত তায় কেবলি ধায়, ভেজা চোখের পাতা।


পার হয় কত মাঠ, শহর, নদী, প্রান্তর,
   ঠিক ঠিকানায় পৌঁছে যাবে, জানে তার অন্তর।
বহু পথ ছুটতে ছুটতে হলো সাক্ষাত পথে,
    চির চেনা মরু সাহারা ডাকলো দূর হতে।


বলে সাহারা শ্রাবণ মেঘ, এসো এসো মোর বুকে!
   প্রতীক্ষায় রই  অনন্ত কাল ঝরো হেথায় সুখে।
রাখবো তোমায় বুকের গভীরে, আদর যতন করে!
   আমার জমানো মধুর প্রেম, দেবো তোমায় ভরে।


ধূসর ওড়না শ্রাবণ বালার আলোর হার গলে,
   চোখে তার বরিষ মুক্তা চমকিত হয়ে জ্বলে!
নূপুরের ধ্বনি রিনিঝিনি সুর, আকাশ পাতাল মাতে!
   মোহিনী রূপ দেহ জুড়ে তার শান্তি সুধা হাতে।


শ্রাবণের মেঘ বলে আমি ঠিক, তৃপ্ত করবো তোমায়,
   তোমার ওই দহন কান্না দগ্ধ করে আমায়।
তোমার জ্বলন্ত তৃষ্ণায় ওগো ঢালবো বরিষধারা!
   চিরকাল নয় শুধু একবার তোমাতেই হবো হারা!


শ্রাবণের মেঘ ঝরঝর ঝরে, মরু সাহারার বুকে!
   তাহার প্রেমের মধুর দানা সাহারা আগলে রাখে!
এমনি মধুর প্রেমে তারা মিললো পরস্পরে,
   সাক্ষী রইলো আকাশের তারা দেখলো নয়ন ভরে!