কান পাতলেই শুনতে পাবে কান্না,
সীমান্তের ঐ কাঁটাতারের গায়।
দুই পারেরই মনের দুখের ঢেউ
কাঁটার মাঝে আছড়ে পরে হায়।


এপার বাংলা কেন মনে হয়
ডাকে শুধু ওপার বাংলাকে,
ওপারের ঝাপসা চোখের জলে
ভিজিয়ে দেয় এপার বাংলাকে।


ও পারের দখিন হাওয়ার গান
বাঁধা কোনো মানে নাকো হায়,
ওপারে সব ফুটিয়ে যত ফুল,
এপারেতে সুবাস দিয়ে যায়।


এই পারের দোয়েল পাখির ছানা
ও পারেতে কেমন বড়ো হয়।
ও পারের গাছের উপর দিয়ে
মনের সুখে কেমন খেলে যায়।


ও পারের কালো মেঘের দল
ভেসে আসে মানেনাতো বাঁধা,
ওপারেতে খানিক বৃষ্টি দিয়ে
এপারকে ভিজিয়ে করে কাদা।


ওপারের সুখের বাতাসেতে,
এপার সুখে গেয়ে ওঠে গান,
এপারের দুখের কোনো ব্যথায়
ওপারের ঠিক কেঁদে ওঠে প্রাণ।


এপার বাংলা কভু বলে ওঠে
আয় আমরা মিলি একসাথে,
ওপার বলে হবে না তো হায়
আঘাত রক্ত ঝড়বে ঠিক পথে।


ও পারেতে ফুটলে পরে বেলী
স্মৃতির বুকে ফেলে দিয়ে যায়,
ওপারেতে পুষলে মাছের পোনা
এপারেতে নেচে নেচে ধায়।


ওপারের শাঁখের আওয়াজ শুনে
এপারের ভরায় সবার মন,
এপারের ওই আযানের সুর
ওপারের খুশিতে মন প্রাণ।


এপার শুধু সুধায় ওপারকে
কেমন করে মিলবো আজ মোরা...
মাঝে আছে কাঁটাতারের দেয়াল
চিরকালই বইবে এমন ধারা!