পথের ধুলায় লুটিয়ে কাঁদে,
কবি সুরদাস।
শুষ্ক বদন শিথিল বসন
কাটায় সবাই পাশ।
ক্লান্ত রবি দিনের শেষে
শুধায় এসে তারে,
চলরে কবি কাজ আছেযে
করিসনা দের ওরে!
অবাক কবি বলেন হেসে
কাজ করেছি শেষ,
এখন আমার যাবার পালা
ডেকোনা পিছে বেশ...
রবি কহে মুচকি হেসে
অমূল্য তোর রতন,
রাজার হাতে পরে সেটা
হয়েছে ভারি যতন।
লেখায় তোর মুক্ত ঝরে
মণিমাণিক্য রাশি,
আসল রাজা পেয়ে সে ধন
আনন্দে যায় ভাসি।
তারও ঘরে অভাব ভারী
ভাঙ্গার বেচে খায়,
তোর সেই লেখার কদর
সেইই দিল হায়!
ব্যবসা তার ক্ষুদ্র অতি
প্রকাশ্যে তোকে এনে,
সত্য করে সেই প্রবাদ
রতনে রতন চেনে!
প্রকাশ পেল গুণী সভায়
লেখার চর্চা মাতায়,
আজযে তুই আমির বড়ো
মূল্য প্রতি পাতায়।
যা কবি তুই ফিরে যারে
অপেক্ষাতে সবাই,
রুক্ষ তোর জীবনটাতে
প্রেমের অভাব নাই।
চোখের জলে জাগেন কবি
আনন্দ ধারা ঝরে,
পূর্ণ হলো শুন্য জীবন
মুক্ত খুশির ভারে।