মাষ্টার মশাই কেমন আছেন, শুষ্ক কেনো মুখ?
শরীরটাতো ভেঙে পড়লো অতো কিসের দুখ!
ছেলে বুঝি বিদেশেতে আয় ভালোই করে,
তবুও কেন মুখটা কালো চিন্তা আজ ভরে?
শুনলাম কাল নাকি,পড়ে ছিলেন কাদায়...
তাইতো আজ দেখতে এলুম, ছেলে মোরে জানায়।
তাছাড়া আজকে জানি, বড় বিশিষ্ট দিন,
নিজের তৈরী মিঠাই দিলাম আগে খেয়ে নিন।
মাষ্টার মশাই বলে পাঁচু,আয় বসবি পাশে।
ছোট্ট বেলার দিনগুলি খুব, চোখের পরে ভাসে...
আমার ছেলে হতো প্রথম তুই ছিলি তলায়,
অনেক বকা দিতাম তোরে, খেলা করতিস ধুলায়।
ভুল প্রত্যয় বুকে ছিল, আজকে ভেঙে যায়,
মানুষ হওয়ার সঙ্গে বুঝি ধুলার সাথ নাই।
ওই ধুলায় কি পেলি তুই, খাঁটি তুই রত্ন,
আমার ছেলের শিক্ষা অনেক,কেরিয়ারে যত্ন!
আজ সকালে মনে করে যে মিঠাই তুই দিলি,
জন্মক্ষণ ধন্য আমার যাসনা কভু ভুলি।
আয়রে পাঁচু বুকে আয়, আদর করি তোকে,
যত দিয়েছি বেত্রাঘাত ফিরে পাচ্ছি বুকে!
সেদিন আমি যে কথাটা শিখিয়ে ছিলাম তোরে,
পড়াশোনা না শিখলে মানুষ হবি কি ওরে...
সেই কথাটা আজকে হারায়, জীবন পথের বাঁকে!
পরাশোনা আর মনুষ্যত্বটা, পৃথক ছবি আঁকে।
এতো বেত খাবার পরেও ভুলিসনিতো মোরে,
সে কেনোযে গেলো ভুলে এতো যত্ন করে?
জীবনের স্বরলিপিতে বসাবো নতুন স্বর,
শেখাবো আজ সিলেবাসে বিবেক তৈরী কর।
বেতের ডগায় যে ব্যাকরণ,যাইনি আমি ভুলে,
তাইতো হেথায় আসি ছুটে,পাঁচু হাসে খুলে।