আমার মনে মন্দির সাজাই
   আমার মাকে নিয়ে,
মহীরুহ সম  স্নিগ্ধ ছায়ায়
   ভরায়  জুড়িয়ে দিয়ে।


অল্প বয়সে স্বামী হারা
   পিতৃহারা মোরা,
দিলো স্নেহের গভীর পরশ
   শান্তি জলের ধারা।


সুখ দুঃখে বেঁধেছিল
   ভালোবাসার ঘর,
আকাশ কভু  চায়নি পেতে
   ক্ষুদ্রে সুখ অপার।

বিপদ ছিল নব নব
   ঝড়েও ছিল অটুট,
অচল ছিল প্রত্যাশাতেই
   আঘাতে বক্ষ টুটুক।


সন্ধ্যেবেলায় ধূপের ধোঁয়ায়
   যেন কোনো দেবী!
স্নিগ্ধ বসনা হৃদয় জুড়ানো
   শ্রদ্ধার জলছবি।


যখন ঘনাতো চলার পথে
   ভীষণ বজ্রপাত,
শুষতো বুকে দুর্যোগের তেজ
   অশনিকে পদাঘাত।


সমাজের প্রতি ভালোবাসা
   প্রতি মুহূর্তে ঝরে,
ব্যথাতুরকে দিল ভরসা আর
   গরীবকে দিয়েছে ভরে।


নিন্দুকরাতো করবে নিন্দা
   ছড়ায় মনেতে বিষ,
শিখিয়েছে মা বিষ উপড়ে
   বাঁচতে অহর্নিশ।


সন্তান মোর থাকুক ভালো
   কাউকে করিনা তুচ্ছ,
সবার তরে বাঁচবো মোরা
   এ বাণী তার স্বচ্ছ।


মোদের হাসিতে তার সুখ
   কান্নায় মোছায় জল,
এমন মাকে পেয়েছে কজন
   চিৎকার করে বল...


সে মোদের ভরসার মুখ
   মোদের সব অহংকার!
সত্য ন্যায়ের তরবারিতে
   বাঁচায় তার সংসার।


মায়ের দুয়ার খোলা সর্বদা
   কঠিন মনের বল!
তার দুয়ারের স্নিগ্ধ ছায়ায়
   বসে থাকি চিরকাল।


তার মনেতে  দুর্গার তেজ
   সেই মোদের সান্তনা,
তার চরণে নিন্দুক লুটায়
   হারে মিথ্যা প্রবঞ্চনা।


হয়তো করেনি তীর্থ ভ্রমণ
   যায়নি দূরের পথে!
দেবতা ঠিক চিনে নেবে
   বসাবে তকে রথে!


জোড় হাতে প্রার্থনা করি
   পাথর দেবতার পায়,
শেষের দিনে কিংবা জন্মান্তে
   যদি করুণা পায়।