ও-মেয়ে তুই কাঁদিস কেন
   ভারাক্রান্ত মুখে,
চোখের ধারা গড়িয়ে গেল
   আমার শীতল বুকে।


ওই দুফোঁটা নোনা জলে
   ঋণী আমি হই,
উথালপাথাল তোর দুখেতে
   পাগল হয়ে রই।


মানুষ হয়ে নইতো সৃষ্ট
   অনুভব তাই অন্য,
আমি নদী মুক্তমনা
   রই সবার জন্য।


পলকে পলকে ছুটছি আমি
   ধরা দিইনা কারে,
তুই আমায় ছুঁয়ে দিলি
   তাইতো ঋণের ভারে।


ছড়িয়ে দেরে মোর বুকে
  বেদন ক্ষত দুখ,
কুড়াবি তুই প্রতিক্ষণে
   শিউলি ভরা সুখ।


ঘুরিয়ে নেরে চলার পথ
   বাঁধা যদি রয়,
যেমন আমি চলি পথে
   সারাটা জীবনময়।


ঢেউএর উপর সাদা ফেনায়
   নির্ভীক প্রেরণাগুলো,
নিবিড় আঁধারে দেখাবে পথ
   করবে তোকে আলো।


চাঁদনি রাতের জোছনা মেখে
   রূপকথাটি ভরে,
ছুঁবো তোর চোখের পালক
   নাচবে খুশি ঘিরে।


তুই আমার জীবন্ত সুখ
   বাঁধি তোকে পেয়ে,
তোকে আমি ধুয়ে দেবো
   মোর পুণ্য ছুঁয়ে।


দুফোঁটা ওই জলের ঋণ  
   ভুলবোনা কোনোদিন,
মরু সাহারায় যতই হোক
   অস্তিত্ব মোর বিলীন।