রেলগাড়ি ছুটে যায় কু ঝিকঝিক,
   সব কিছু পিছে ফেলে ঠিকানা সঠিক।
কত লোক কত কথা রয় হয়ে সাক্ষী,
   ঠিক স্থানে দেয় রেখে জীবন্ত রক্ষী।
চারধারে ঘিরে তার শুধু মায়া জাল,
   ফেলে রেখে যায় চলে অনন্ত কাল।
জানালার বাইরে ছুটে চলে দৃষ্টি,
   প্রকৃতি মেলেছে পাখা অপরূপ সৃষ্টি।
আকাশের গায়ে মেঘ সীমান্তে ধায়,
   সবুজের সাথে নীল এক হয়ে যায়।
সরষের ক্ষেতে ভারী লেগেছে আগুন,
   তারি মাঝে মৌমাছি গায় গুণগুণ।
রাখাল বালক যেন ঠিক কালো কাহ্না,
   বন্ধুর পথে চলা আছে তার জানা।
খালে বিলে সাদা বক এক পায়ে চায়,
   ধৈর্য অটুট তার তপস্বীর  ন্যায়।
উলঙ্গ ছেলেটির মায়া ভরা মুখ,
   তাকে নিয়ে মার বুকে অপার সুখ।
হকার বিকায় বড়ি যদি হয় সাধ্য,
   জীবনের সব ব্যথা ছুটি নিতে বাধ্য।
ধীরে ধীরে দিন শেষে আঁধার ঘনায়,
   আলোর পরশ লাগে আকাশের গায়।
জীবনটা ঠিক যেন এক রেলগাড়ি,
   ছুঁয়ে যায় কত পথ দেয় দূরে পাড়ি।