ঝিরি ঝিরি শ্রাবণ ধারা পরছে শুধু ঝরে...
ঘরেতে আজ মন লাগেনা যাই নদীর ধারে,
মাঝিরে শুধাই ওরে মাঝি, নিয়ে মোরে চল,
সন্ধ্যাখানা কিনবো নায়ের, কি দাম চাস বল?


যেথায় খুশি চল বেয়ে তুলে দেরে পাল,
শ্রাবণটাকে বাঁধবো বুকে, ধরনা তোর হাল।
অজানা কোনো নদীর বাঁকে, নৌকা তোর ভাসবে,
কালো মেঘের গুরুগুরু আকাশখানা কষবে!


মাঝি বলে শ্রান্ত আমি,দেহে ক্লান্তি নামে,
হাজার কড়ি দিলেও আমি, বিকাবোনা দামে।
আজ সন্ধ্যায় মনের সুখে করবো আমি গান,
ঝরবে ধারা শ্রাবণ মণি... ভরবে আমার প্রাণ।


বলি তারে দেব আমি কদম ফুলের মালা,
তোর জন্য নিয়ে এলাম মিঠাই ভরা থালা।
মাঝি বলে ওসব লোভ নেইতো মোর মোটে,
দীন দরিদ্র মানুষ আমি, খাইযে বটে খেটে।


বলি তারে শুনবি তুই রবি ঠাকুরের ছড়া...
বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর নদী বিল ভরা,
ওমনি মাঝি বলে উঠে, যাবে দূরের পথে...
ভুল হয়েছে চিন্তে তোমায়, নায়ে ওঠো সাথে!


বলি তারে চলরে মাঝি দূরের পানে চল,
জলের মাথে জল পরে উঠুক ছলাক ছল!
গাইবো আজ শ্রাবণ গান তুই চালাবি নায়।
সন্ধ্যাখানা হবে অমর, অধিক নাহি চাই!


সন্ধ্যাটাকে বাঁধি আজ, বরিষ রাগ ভরে,
রজনীগন্ধা জাগছে দেখ, আকুল নদীর ধারে।
কাটিয়ে দেবো অনেক যুগ, ওই অনন্ত কাল!
সন্ধ্যাখানা রাখরে ধরে... দিয়ে তোর হাল!