অত্যাচারী জমিদার ছিলেন রমেনবাবু।
নির্যাতনে গ্রামের মানুষ সবাই হতো কাবু।
লোক ঠগাতে না পারলে ঘুম আসেনা চোখে,
দিন রাত্রি করতো ছল, লোভের জ্বালা বুকে।


গিন্নি বলেন, থামো এবার হলো বয়েসখানা,
প্রজা হলো সন্তানতুল্য নেইকি তোমার জানা।
তাদের বুকে আঘাত করে পাবেনাকো মুক্তি,
রাশি রাশি টাকা পচে আছে কোনো যুক্তি।


রাজা বলেন ক্ষমতা পেলাম লুটবো ফায়দা খানা,
জ্ঞানের কথা শুনিও নাকো সবটা আছে জানা।
স্বজন-পোষণ বড় ধর্ম এটাই কেবল সত্যি,
নিজে বাঁচবো বাপের নাম মিথ্যেতো নেই রত্তি।


এলো সেদিন উড়ো চিঠি সিবিআই ভূত কাঁধে।
এবার বাবুর চিন্তাখানা আষ্টেপিষ্টে বাঁধে।
রসগোল্লা মাছের ঝোল তেতো সব কিছু,
রাত দিন আতঙ্ক ভয় নিচ্ছে অধিক পিছু।


ঠাণ্ডা ঘরে থেকেও তার, ঝরছে শুধু ঘাম,
এতোদিনের লুটের বোঝায়, শুধতে হবে দাম।
চিন্তায় সে শুকাতে থাকে রক্ত ঘাটতি দেহে।
স্বজনদেরও মেলেনা রক্ত ডাক্তারবাবু কহে।


গ্রামে গ্রামে এই বার্তা ছড়িয়ে যখন পরে,
প্রজারা সব এগিয়ে এলো তাকে রক্ষার তরে।
কিন্তু গ্রামের মানুষগুলো অপুষ্টিতে ভরা,
ঠিকমতো দুটিবেলা পায়না খেতে তারা।


কারো রক্ত পেলোনাকো অত্যাচারী রাজা,
সত্যি আজ পেয়ে গেলেন ভীষণ রকম সাজা।
গিন্নি বলেন এবার বুঝি উচিত শিক্ষা হলো,
সত্যি বলতে এবার রাজার জীবনখানা গেলো।