ভালোবাসা ছড়ানো সকালের শহরে
প্রথম রৌদ্র ফুটপাথের উপরে খেলা করা
অভিলাস চোখ  রগড়ে উঠে বসে
আবার শুরু এক দিন, নয় স্বপ্ন রাত
এক কাপ চা ,একটা রুটি আর রিক্সা
গায়ে ঘামের গন্ধ ,মনেতে কত দাগ
এই ভালোবাসার শহরে কত অভিলাস
একথালা ভাত ,একটা কাটানো দিন
আর সময়, এক মাগাজিনে ছাপানো রাত
                      ২
ফুটপাথের নিচে ল্যাম্প পোস্টে হেলান দিয়ে
এক নারী বসে আছে,যার কোলে যিশুখ্রিস্ট
এক রৌদ্র  চোখ ,মুখে বাবু কিছু দিয়ে যান
অসামান্য এক নারী যার হৃদয়ে স্বপ্ন
যার যোনিতে শুয়ে এ কলকাতার জন্ম
কোনো এক বিখ্যাত চিত্রকরের নির্বাক দান
ভালোবাসার শহরে যিশুখ্রিস্ট আর মা মেরি
শহরের কোনে রাখা গীর্জার দরজায় দাড়িয়ে
এ সময় ,স্মরনীয় কারন মায়ের অভিমান
                      ৩
কোনো এক হাড়কাটা   গলিতে থাকা রানী
অনিমিকার বুকে রাখা বাচার ইচ্ছা ,স্বপ্ন
ধুয়ে যায় প্রতি রাতে নোংরা বিছানার চাদরে
জোত্স্না নয় প্রতি রাতে বাঁচে মরে রানী
কখনো হাসে ,বেচে থাকে ,ঘৃনা নিয়ে
নিজের নকল হাসি ,নকল রূপ ,বাঁচার আদরে
শহরের কত কোনে শহরের বানানো রানী
বয়ে চলে কত রক্ত দাগ ,কত নর্দমার জল
নিজের ভিতরে ,বাহিরে জমানো অন্ধকারে
                       ৪
শীতল রাত্রি জোত্স্নার স্নিগ্ধতা শহরের গায়ে
এক স্বপ্নের আলো ভেসে যায় ,শব্দহীন
অদ্ভূত এক মায়া যেন ভালোবাসার শহরে
আমাদের পাপ ,ক্রোধ ,হিংস্রতার উর্ধে
যে আলো ঘুরতে থাকে  অন্ধকার আকাশে
মানুষের স্বপ্ন ঘুমোয় তার সাথে আমার শহরে
কোথাও এক আশ্রয়হীন পাখি এসে বসে
ঘর খোঁজে,স্বপ্ন খোঁজে ,খোঁজে একটা জীবন
তখন ঠিক ভোরের আলো ফোটে আমার শহরে