কোনো এক বেশ্যার সাদা বুকে
লেগে থাকা আদরের কালসিটে র দাগগুলো
এককটা জীবনের ফুলের শৃঙ্খলিত রূপ।
বহু চর্চিত জীবনের অবয়বে
জীবন আজ বেশ্যার মতো রাস্তায় দাঁড়িয়ে।
তার ক্রেতা হলো বহুরুপী কাগজের টুকরো
আর বিক্রেতা হলো জীবন নিজে।


বেশ্যার নীল নাভিতে লেগে থাকা
কার্বনের চিটচিটে ছোপগুলো
আসলে পদচিন্হ ফেলে আসা সময়ের।
আর তার যোনিতে বর্জিত পাপগুলো
আসলে লেগে থাকা সমাজের কালি
যা লেগে  জীবনের চোখে মুখে।


যে রাস্তার ফুটপাথে বেশ্যা  দাঁড়ায়
তা হলো জীবনের কর্কশ পথ।
আর যে ঘরে সঙ্গমের সুর তোলা থাকে
তা হলো জীবনের ছন্দপতন।
বহু ব্যবহ্রত বেশ্যার শরীরে
পিষে যায় জীবন বারে বারে।


তবু বেশ্যা হাসতে থাকে
তার নকল হাসি
যেমন  জীবন হাসে।
এক খিদে  যার কারণ
বেশ্যা আর জীবন বাঁচে।
কান্না লেগে থাকে জীবনের প্রতি পদে
ফুটতে থাকে বেশ্যার শরীরে পাপ ,
তবু জীবন চলে বেশ্যার পথে।