চা বাগানের সামনে আমি দাড়িয়ে
হাতে ক্যামেরা, কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ
দেখি অমলিন সবুজের শুভ্রতা
আমি পাগল হই, তাড়াতাড়ি ক্যামেরার চোখে রাখি চোখ
ক্লিক ক্লিক, হঠাৎ কথার শব্দ, মেয়েলি
পেছন ফিরে তাকাই
হাতে হাত জড়ানো দু'টি বালিকা
বয়স কি আর হবে এমন
আমি মুখে হাসি টানি, ওরা হাসি
তবে আগ্রহ দেখা যায় আমার ক্যামেরায়
ওদের সুন্দর করে দাঁড়াতে বলি
ছবি তুলি ক্লিক, ওরা হাসি


কি নাম তোমাদের? কাজলী-সুলেখা
ওরা সমস্বরে উত্তর দেয়
বাড়ি? ঐ যে ঐই খানে, হাত প্রসারিত, দূরে নির্দেশিত
আমি আগ্রহ দেখাই যাবার
আবার ওরা সমস্বরে বাবু, যাবে তুমি?
চলে এসো, ওরা আমার সামনে সামনে চলে
আমি উচু নিচু পথে সবুজ ঘাস মাড়িয়ে
হোঁচট খেতে খেতে চলি, ওরা হাসি


অনেকটা উঁচুতে ওদের ঘর
আমার হঠাৎ প্রশ্ন জাগে ওরা কি বোন?
চলতে চলতে প্রশ্ন করি
ওরা হাসি, উত্তর নেই, আমি আরোও হাসাতে বলি
তবে তোমরা কি ভাই? ওদের হাসি নেই
আমি থমকে দাড়াই, ওরা কেমন বিষন্ন, মলিন
সাহস হারিয়ে ফেলি বলার, প্রশ্ন করার
ওদের চোখ হয়ত ছলছল, ভুল দেখছি নাতো


ভাই ছিল একটা, বাবু। এখন আর নেই
সে অন্য কোথাও বাস করে অন্য জগতে
দূরের কোন মেঘ পারে, মলিন ধূসর কুয়াশায়
ওদের বিষন্নতা, আমার মাঝেও সংক্রমিত হয়
আমি মাথা নিচু করি, বলি না মনে করিয়ে
দেয়ার জন্য আমি দু:খিত
ওরা দেখে আমি দু:খিত, আমি লজ্জিত.....