পাচ্ছি নাকো শব্দ তাঁকে নিয়ে লিখতে বসে
মাথার মধ্যে ভাষার পাহাড় যাচ্ছে যেনো ধসে।
স্মরণ করে তাঁর কথা সবে হয়েছি একত্র
পাবো কিনা জানিনা আজ আমার 'ছাড়পত্র'।
তাঁর আদর্শ ভুলে মোরা দেশের বুকের বোঝা
মোদের উচিত নিজের পিঠের শিরদাঁড়াটা খোঁজা।
বছর কুড়িতেই তিনি হলেন প্রতিবাদের মুখ
আমরা সেসব ভুলে খুঁজি আরাম, আয়েস, সুখ।
সাহিত্য চেতনা দিয়ে তুলেছেন তিনি প্রতিবাদী ঝড়
জ্ঞানের ধনুক থেকে বেরিয়েছে আন্দোলনের শর।
টাকা, বাড়ি, গাড়ি নিয়ে যখন আমরা করছি বড়াই
তখন ঐ বয়সের অনেক কমেই করেছেন তিনি লড়াই।
তাঁর কাছে ছিল অনেক দামী এই দেশ ও মাটির মান
বিরোধী সুর তুলে তিনি গেয়েছেন কৃষকের গান।
চেতনাটা তাঁর সদা জাগ্রত ছিল সমস্ত লেখায়
সেসব লেখা আজও আমাদের অনেক কিছুই শেখায়।
তবে দুঃখ হলো, আমরা কজন নিচ্ছি সেসব শিক্ষা?
আমরা সবাই সবকিছুতেই করতে শিখেছি ভিক্ষা।
তাঁর দেখানো পথ বেয়ে আজ কজন মোরা হাঁটছি?
কজন সুস্থ্য সমাজ গড়তে মন থেকে আজ খাটছি?
আজ সময় এসেছে প্রশ্ন করার বিবেক সামনে রেখে
কজন চলি এই গুণীজনের আদর্শকে মেখে?
কজন মোরা তাঁর আদর্শে হয়েছি আদর্শবান?
কজন ধরি অন্যায় দেখে প্রতিবাদী গান?
তবে আমার আশা একদিন ঠিক পাল্টাবে এই ছবি
এই সমাজ আবার পাবে তাঁর মতো এক কবি।
যিনি হবেন তাঁরই ছায়া, তাঁরই অবতার
মানুষকে ঠিক বুঝিয়ে দেবেন তাঁদের অধিকার।
ভীষন কঠিন হবে অধিকারের লড়াই করা
তবেই তো হবে শিশুর বাসযোগ্য এই ধরা।
তাঁর দেখানো পথে হাঁটলে নতুন আঠারোর রক্ত
অপরাধী ও অন্যায়কারীর বাঁচা হবে শক্ত।
যখনই সমাজ মুষড়ে পড়বে হয়ে পড়বে ক্লান্ত
তখনই আবার নতুন করে জন্ম নেবেন সুকান্ত।