আমার দুঃখ গুলো যেন কোনো এক করুণ কিপ্টে বুড়োর টিনের চালের কোণে বাসা বাঁধা চাতকের ন্যায়,
যে বুড়োর সামনে ক্ষুধার যন্ত্রণায় মানুষ মারা যাবে তবুও করবে না দু-পয়সা ব্যয়।

দুঃখ গুলো ঠিক তেমনি একবার আসলে যক্ষের
ধনের মতো যেতে চাই না আর,
ক্ষণিকের সুখের পর তড়িৎ গতিতে ফিরে আসে বারংবার।

আমার দুঃখ গুলো যেন কোনো এক মানবীর কাজলে আঁকা চোখ,
যে কাজল মানবী বারবার হরিণী চোখে মেখে পায়
স্বর্গ সুখ,

ঠিক তেমনি দুঃখ গুলো আমার গৃহে কড়া নেড়ে
করে সুখের উল্লাস,
চলে যাবার আগে শকুনের মতো ঠুকরে ঠুকরে করে
আমারে জ্যান্ত লাশ।

আমার দুঃখ গুলো যেন ছোট্ট কিশোরীর পুতুল খেলার বায়না,
যে কিশোরীর মন একটি পুতুল খেলায় পোষায় না।

কিশোরীর বায়নার মতোই দুঃখ গুলো করে চলাচল,
সেই কবে মহাকাল আগে আমার আত্মার জমিন    
ছুঁয়েছিল সুখের জল।

আমার দুঃখ গুলো সুরাকাভ পাখির মতোই নিষ্ঠুর বেইমান,

যে পাখি চোখের পলকে করে দেহের রঙের প্রস্থান।
আমার দুঃখ গুলো দুঃখের মতোই বেইমান,

আমার দুঃখ গুলো কেমন জানি পাংশুটে,
আমার দুঃখ গুলো বড়ই যন্ত্রণাময় আর বিদঘুটে।

✅মেহেদী হাসান রনি