* আমি বিষবৃক্ষ ধরিয়া জগতে চাহি না রে ভাই
       বল্মীকির রসনায় অমৃতভাষিণী,
চরণারবিন্দ পদ্মাসনে ভস্মের ঐ গহিন কাননে  
     আমি ধ্বংসের ছাই হতে আসেনি।
মৃত্যুঞ্জয় উপমিতি,ভাবনায় ভৈরব যেমতি
        করুণার পাত্রমিত্র আদি,          
      বিশ্বরমে তুমি বীহনেই কাঁদি              
আমি ভাগ্যতরির সংসারে চিরকালব্যাপী  
            কাঁদতে আসেনি।              
নাচিছে অম্বরে সুন্দরী রমনী হূর          
তাহা দেখিতে চেয়ে ও দেখিতে পাই না
  সংশয়ে, যে কাঁটে রাত্রি দিবানিশি ভোর।    
জননীর ঘরে, রাজলক্ষ্মী করে উল্লাসে
         অস্থায়ী বিষাদের বাধ              
আমি দেবীর প্রাসাদে ভাঙ্গতে আসেনি।
   অন্নদা যথাবিধি বন্দি শিবির            
     নিঃসৃত একদা, আঁধার গভীর            
পরশে কাব্যরত্নাকর, কাঁপিছেতে থর থর
         শুকনো পাতা ভাংঙ্গে মর্মর      
     ভয়ার্ত দেয়ালে আঁকা এক ছবি,          
জগতে নরাধম আসিলো নরাকূলে          
          দৈবের করিতে বশে                
     এ কি সংকেত লিখে চলছে কবি।        
সাধিতে মনের সাধ, ডরি শমনে আহ্লাদ
          আনন্দ পুষ্প আসরে।              
বসন্ত ফের এলে, স্মৃতিরা ডানা মেলে    
  রিয়া চিরস্থির, কবে হবে আমাদের নীড়
      তোমার আমার                    
     আলিঙ্গনের বাসরে?