আমাকে দাও ছুটি
----------------------------------


*সেই যে ৯২ এ ভূমিষ্ঠ হয়ে পদার্পণে
জিবন যাত্রাটা হলো শুরু,
তারপর চলিতে ফিরেতে পাতালে উতালে
অরণ্যে বরণ্যে ধূ ধূ মাঠ প্রান্তরে
তোমাকে চিনিলাম আমি
হে মহান কারিগর
কবিতা সমাজ্রের গুরু।
প্রথমে তোমাকে জানাই আমি প্রেম প্রীতি,
ও ভালবাসার বিনীত ইচ্ছা,
তুমি ত জানো আমার প্রেম বিনিময়
শৈশবস্মৃতির কিচ্ছা।
সেদিন প্রথম প্রেম ছিল আমার ধূলির সাথে
লুটোপুটি করে বাংলা বর্ণ ভাষার
অ,ই,আ উচ্চারণের শৃঙ্খলে মজার শব্দ পড়ে।
সেদিন থেকেই বাংলা ভাষার সাথে আমার
প্রথম প্রেম ও পরিচয়।
তারপর হতে আজ অবদি সে আমার
পরম বন্ধু ও অতি নিকটতম আত্মীয়।
আমি সময় পেলেই তার অনুভূতি লয়ে খেলা করি
মগ্ন তপস্যার তরে, আমার প্রাণটি ভরে
আমি থাকে তুলির আচরে সাজাতে ভালবাসি,
সে আমার প্রথম প্রেম, দুঃখ ভুলানো
জীর্ণ শীর্ণ মুখের হাসি।
জানি একদিন স্বর্ণ লতিকার মত বর্ণ তুমি
অন্ধকারের মুখে হয়ে ওঠবে একটি প্রতিবাদী অনন্য এক কবিতা
সেদিন আমি হব তার কবি।
নিশ্চয় তারপর আমার হবে চির ছুটি
এ নিষ্ঠুর ধরত্রী থেকে যেখানে কেউ কারো নই
স্বার্থ টানে খানিক সময়ের জন্য,
হে ভাষা আমি হয়েছি পাগল তোমার প্রেমে
কবি ও কবিতার জন্য।
হে ভাষা সময় যাচ্ছে ঢের চলে
আমার বাঁজবে যে ছুটির ঘন্টা,
তোমাকে ছেড়ে যদিও যেতে হবে আমায়
তাই বরাবর কাঁদছে আমার মনটা!
হে ভাষা, আজকে আমাকে দাও ছুটি?



.......... মুহাম্মদ জে.এইচ (রপ্পি).........