* শতবর্ষপূর্তিতে রজনীর শেষে দিবস এলো
অন্যমানস্কেই
বর্ণমালাটা লেখা হয়নি যে দেয়ালে,
ক্রমশই ওঠছি বেড়ে ব্যাধীরূপে
শূন্যতার ভরপুর খেয়ালে।
রক্তমাংসময় বড্ড অসময়
গোত্রের যারা উৎপীড়নের মধ্যে ও লড়ে গেছে
শতাব্দীর পর শতাব্দী
আগে তাদের কথা স্মরণে রাখনা,
দর্পিত, সৌন্দর্য খুলে দিবে তখন
উদ্যত মুক্তির ঢাকনা।
কষ্টরাশি থেকে হঠাৎ বৃষ্টি ঝড়বে
রক্তের লোহিত ফোটা,
আমার সমাধীর স্থান কোথায়
হে বিশ্বের জাতি গোটা?
হয়তো আমি বীর শহীদ নই,
না কোন ভাষা সৈনিক ,
তবু আমি মুক্তির গান গেয়ে কলমের কালিতে
অক্ষরে জেগে ওঠি দৈনিক।
জগতের নষ্টদের অধিকারের জন্য
ধরাতে আমার এ অবস্থান,
অপার্থিব সৌন্দর্যে আমি নয়তো চিন্থ প্রথীক
হয়ে কিশোরীর চুলের ওষ্ঠ আলিঙ্গন,
আমার ভালবাসা গাঁথা থাকবে চিরদিন
স্মরণে তোমাদের প্রেমে
একবিন্দু সুখের জন্য আমি
করবো না যে কোনদিন
অশ্লীলতার সীমালঙ্ঘন।
আশ্চর্য আজ স্বাধীন,স্বদেশ তোমার আমার ভূমি
কভু রাখিনা তাদের স্মরণ,
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইলের পথে লজ্জায়
আজ আমার ইউক মরণ!
জানি ভুলে ও রাখিবে না সেদিন
হে জাতি অনির্দিষ্ট কালে
তোমরাও আমাকে করিয়া স্বরণ।