* ঐ যে আমার শীতল গায়ের আকাবাকা
পল্লী মায়ের ছবি,
সবুজের ছায়াতলে ঢেকে গেছে আবছায়া
রৌদ্দুর,
গগন সীমায় উড়ে যাচ্ছে সাদা কালো মেঘ
বাষ্পীয় উত্তাপে বহমান
সমুদ্দুর।
এখানে, নদী আর গহীন বন খেলা করে
ফুল ফুটে আর পাতা ঝরে ,
পাখিরা মুহুতানে গান ধরে
আর রাখালি চড়ায় গরু,
সেখানে নির্জন কোলাহলে, চারপাশটা
চারুলতার তরু।
ঠিক, সেখানে আমার শৈশব পড়ে আছে
এ মলিন মুখের হাসিতে,
দুষ্টুমি আর খেলাধুলার ভঙ্গিমায়
অনন্য এক রাশিতে।
আমি যেখানেই যাই ফিরে ফিরে চাই
কভু তাহার মতন কিছু পাই না,
এ যে আমার পল্লী মায়ের রূপ
তাকে আমি ভুলে যেতে চাই না।
না, ভুলে যেতে চাই না?
আজি বন্ধনা করি যে বাংলা মায়ের
চিত্রায়নের ছবি,
তোমরা কি ভেবেছো বলেছো আমাকে
আমিই বর্তমানের কবি।
আরে আমি নয় কো কবি শীতল ছবি
ঠান্ডায় গা কাঁপুনি,
আমি ধানের শীষে কাঁদন বিষের ছেলে
চিনবে না যে আপনি।
ওরে তোরা স্বপ্ন ধারার কি নাম শুনেছিস
কল্পনার ছড়াছড়ি,
গভীর স্নেহে ডাক দিয়ে আয়, বলি,
কি চিনেছিস, কি জেনেছিস
বাংলা মায়ের রূপটা বরাবরি।
আমি সেই বাংলা মায়ের রূপের বাহার
তোমাদের, কেমনে বুঝাব বল,
শহরের চার দেয়ালের মনটা ছেড়ে
অনন্ত একটি বার।
বাংলা মায়ের পল্লী নিবিড় মায়াতে
শান্তি নীড়ে চলো,
তবেই বুঝবে কাকে বলে আমার
বাংলা মায়ের হাসি ,
আমি সেখানে উপভোগ্য করি জীবন্তিকা সুরে
চেনা বাঁশরীর বাঁশী,
এলেই বুঝবে কাকে বলে আমার
বাংলা মায়ের হাসি।