জগতে যদি উল্টো দৃশ্যায়নে এ মন হতো
আয়নার সম্মুখে দাঁড়ালে পৃথিবীর মানুষ
তাদের সুন্দর চেহারা ও পোশাকের আড়ালে
নিজেদের দুশ্চরিত্র কুৎসিত মৌনটাকেই
চোখের সামনে দর্পিত সে রূপ দেখিতে পেতো
তাহলে আয়নার সম্মুখে মানুষ নিজেকেই দ্বিতীয় বার উপস্থাপন করিতো না লজ্জায়,
সময় সাপেক্ষে নব প্রেমে যদি এমন হতো
পুষ্প স্ফুটিত ঘ্রাণের সৌরভ অনুভবে মৌন
শ্বসনকার্যে প্রবেশ করিলে পুষ্পের সুঘ্রাণ
ভাইরাস বিষে অঙ্গ নীল হয়ে যেতো তখন
তাহলে ত ফুলকে ভালবাসার সাক্ষী হিসেবে
প্রেমিকার হাতে প্রেমিক স্পর্শ করার জন্যই
পরীক্ষিত অমর প্রেমে কখনই ছাড়িতো না।
যদি এমন হতো মানুষ যা হুকুম করিবে
সৃষ্টির সমষ্টিরূপ প্রতিফলনে তা করিতো,
তাহলে ত সৃষ্টির কোন বস্তুত সাক্ষী হয়েই
সৃষ্টিদৃশ্য আর দৃশ্যমান রইতো না ভূখণ্ডে
তবে বহু আগেই ধ্বংস হয়ে যেতো পৃথিবী
চিরতরে মানুষের প্রতিহিংসার খেলায়,
বিধাতার সৃষ্টি চির ভালবাসার নিদর্শন!
যদি এমন হতো জগতে রবার্টের বসত
আর মানুষের ভিন্ন মডেম বানাচ্ছে রবার্ট ,
তবে শৃঙ্খলে থাকিতো সদা মানুষের স্বভাব
আর ভুলক্রমেও মানুষ বাঁধাতো না সে যুদ্ধ
দেখাতে নিজ নিজ শক্তির ভস্মের অবস্থান। এটা চির সত্যি যে পুরো মানব জাতি জগতে
স্রষ্টার অনুগতেই হয়েছে মৃত্তিকায় তৈরি,
ইবলিশের প্ররোচনায় আজ ভুলেছে লজ্জা মানুষ ঈর্ষায় পুড়ে দাঙ্গাফাসাদে করে বৈরি।
যদি বাস্তব পরিলক্ষিত সভ্য এরূপ হতো
মানুষ মালিকে বাণীতে অনুগত অবতার,
তবে শান্তি ঐক্যে জয়জয়কার হতো বিশ্বের
ঐক্য সাম্য,জিন্দাবাদে চির এক মূল্যবোধের
হয়ে ভালবাসার উপমিত এক উপহার।