মুসলিম উম্মাহর কাছে আশুরার ঐতিহাসিক গুরুত্ব
ও তাৎপর্যমণ্ডিত অনেক বেদনার ও দ্রোহের
প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর দৌহিত্র হোসাইন রা.এর
শাহাদাত বরণ আশুরাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে
হোসাইন ইবনে আলী (রা.) চতুর্থ হিজরির 
শাবান মাসের ৫ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন,আর
আশুরার জুমার দিনে ৬১ হিজরিতে তিনি শহীদ হন।
উনাকে সিনান ইবনে আবি আনাস নাখায়ি হত্যা করে। 
হত্যাকাণ্ডে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে সেই
কু-খ্যাত খাওলি ইবনে ইয়াজিদ আসবাহি হিময়ারি।
প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর দৌহিত্র'কে হত্যা করে
সে হোসাইন ইবনে আলীর মাথা শরীর থেকে দ্বিখণ্ডিত করে এবং ওবায়দুল্লাহর দরবারে নিয়ে যায়।  
একটু স্তম্ভিত কিংবা বিচলিত হয়নি,কাফেরের দল
বলাবাহুল্য যে, কারবালার প্রান্তরে সে অশুভ দিনে
পাপিষ্ঠরা যে নির্মমতা ও নির্দয়তার জন্ম দিয়েছে
তা পাষণ্ড হৃদয়েও ব্যথা যন্ত্রনা ও ক্ষত সৃষ্টি করে।
৩৩টি বর্শা ও ৩৪টি তরবারির আঘাতের চিন্থ ছিলো
হোসাইন রা. সেই পবিত্র দেহের নানান জায়গায়
তাছাড়া,শরীরে ছিল অসংখ্য তীরের জখমের চিহ্ন।
যে দেহখানি প্রিয় নবীর চুম্মনে সিক্ত ছিলো
সে দেহখানি ক্ষত বিক্ষত যে করতে পারে
সে আর যাউ হউক, বিশ্ব আশেখে রাসূল ও
একজন পূর্ণাঙ্গ মুসলিম কখনোই হতে পারে না!
হোসাইন (রা.)-এর সংগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল
খিলাফত ব্যবস্থার পুণর্জীবন।
আর এজিদের সংগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল জালিয়াতি
জুলুম,ব্যাবিচার,অনাচার,পাপাচার ইত্যাদি।
হজরত হোসাইন (রা.) মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত
বীরত্বের সাথে লড়াই করে যান,এজিদের বিরুদ্ধে।
সবশেষে তিনি শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করেন
এবং মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন,পৃথিবীর মায়া ছিন্ন করে।
আশুরা এমন একটি ঐতিহাসিক  ঘঠনা,যা
মুসলমানদের অন্তরে জাগিয়ে তুলে এজিদের বিরুদ্ধে
মন থেকে ঘৃণা, রাগ,ক্ষোভ ওঅনন্ত বিষের জ্বালা।


তথ্যসূত্রঃ- সংগৃহীত।