"খোকার শেষ চিন্থটা"
------------------------------
সন্তানহারা ব্যথায় কাঁদিয়া কাঁদিয়া দুখিনী মা
দিশেহারা পথে যাই,
গৃহস্থালির রক্ত মিছিলে ও গ্যারিলা ট্যাঙ্কের আক্রমণে
মৃত্তিকা রক্ত জলে
তবে কি আছে পড়ে, খোকার দেহের শেষ চিন্থটা।
এ সেই রাস্তা যেখানে খোকার সাথে শেষ দেখা
সেদিন মাকে ঝরিয়ে ধরে খোকা
ক্রন্দনে ক্রন্দনে যুদ্ধে গেল,
আর ত ফিরে এলো না।
স্বাধীনতা, স্বাধীনতা বলে জয় ছিনিয়ে আনতে
সেই যে খোকা গেল?
তারপর জয় এলো
একে একে তার সঙ্গীরা ও ফিরে এলো
কভু আজও ত খোকা ফিরলো না!
হতাশ চোখে দুখিনির মায়ের আর্তনাদ,
আকাশ, বাতাস, বনের পাখি সম নির্বাক
কেউ বুঝেনি এই দুখিনী মায়ের কষ্ট,
খোকা খোকা বলে কেবলি অশ্রু জলে তার
চোখের মণিটা হলো নষ্ট।
তবু সেই মায়ের দুঃখ কেউ বুঝেনি
না কি কেউ বুঝতে চায় নি?
তবে কি এমন ভয়াভয় অন্যায় হয়েছিল
সেই অভাগা মায়ের সাথে?
অবহেলা একি ছিল তার চাওয়া
স্বাধীনতার বদলি খোকা হারালো
যেন স্বাধীনতা,নানার বাড়ি দখলি হতে পাওয়া,
হেন ভবিষ্যৎ জয় ছেয়েছি, জয় পেয়েছি
আমার অধিকার আমি পেয়েছি।
তবে এটা নতুন প্রচ্ছ্যদে বেমানান আকার ধারণ করলো হিংস্র রূপে
রাজাকের বংশ দূত হিসেবে ।
আমি এর বোঝা নিতে চাই না
তাইতো আমি খুঁজে মরি দুখিনী মায়ের সন্ধানে
আজ সত্যকে হৃদে ধরে ভরপুর চেতনা লয়ে
হে শহীদ বাংলার বীর সেনারা
তোমরা আমাকে ক্ষমা করো!
আমি স্বাধীনতা রক্ষার্থে                        
কোন ভূমিকা পালনে
সামিল হতে পারলাম না বলে।
হে শহীদ বাংলার বীর সেনারা
তোমরা আমাকে ক্ষমা করো।
...... মুহাম্মদ জে.এইচ (রপ্পি).....