- ফুলপল্লব আনন্দগানে ধরত্রীজুড়ক
প্রীতি সুমধুর,
এক পাখি ডাকা ভোর।
তোমার বক্ষ হতেই বিশ্বমহাতরী
কণ্ঠে ঢালে বিষাদবিধুর!
প্রাণপণ স্নেহে অহর্নিশি মুখে
আজ সকরুণ হাসি,
তোমার ঐ সকল সৌন্দর্য ভরা পথে
আমি মুক্তি খুঁজিবারে বলি,
মেয়ে তোমারেই ভালবাসি।
আমি শূন্যপথে ক্ষুদ্র আত্মাটিরে ধরি
কাঁদিতে কাঁদিতে একি গতি হল মোর
মেয়ে তাতে ও তোমারে স্মরি।
পূর্ব জন্ম বলিয়া কিছুই নাই
বোধকরি, এই জন্মে করিয়াছি পাপ,
মেয়ে তোমার প্রতিমা, ঐ সৌন্দর্যের সঞ্চারি
তাহা দেখিয়া নিতান্তপক্ষে
জগতে আমার আমিতেই
একান্ত রক্ষে হচ্ছি বা অনুতাপ।
লজ্জা দিয়ে সজ্জা সাজায়ে আবরণে
বিধাতা ঢেলে দিয়েছিলে প্রেম,
ভালো মন্দ যাচাই এ আসুক মেয়ে
তোমার সুবুদ্ধি
উপলদ্ধিতে,তন্দ্রাতলে যৌবন ধনমান
কতোটা তোমারে দেম।
সর্বগ্রাসী পাষাণপিঞ্জরে ব্যাকুলিত
হৃদে উঠিল আকূলি,
ফিরে চাহিবার খরস্রোতের স্মৃতি
মেয়ে তোমার বজ্রকণ্ঠের কাকলি।
গ্লানিহীন দিনগুলি মেয়ে তুমিবিনা
আদৌ ফিরেবারে চাই,
জেনে রাখো মেয়ে হাসি-উচ্ছ্বাসের
নবরূপে তুমি ছাড়া
মোর হৃদ ও মাঝারে অবশিষ্ট কিছু নাই।