* আজও বুকের গভীরে টানটান গাঢ় ভাজে
ধ্বনিতে উচ্চারিত মনে পড়ে রিয়া,
তোমার হাতের সেই করতালির শব্দ!
স্কুলচত্ত্বরে বার্ষিক বর্ণাঢ্য মুক্ত অঙ্গনের
জমকালো আয়োজনে,
আমার স্মৃতির দৃশ্যপটে
পিরিয়ড চলাকালীন ব্যায়াম যুগলে সারিবদ্ধ হয়ে
এক লাইনের দলপতির দায়িত্বে
যখন ছিলে তুমি?
সেদিনের স্মৃতিবিজড়িত তোমার কোমল
হাতের তালুয়,
মুঠোভরা সেই করতালির শব্দ
আহা অশ্রুবারি হয়ে আজও বাঁজে মনে
সাথে সাথে আস্কন্দিত মস্তিষ্কের প্রভাবে
আমার আপাদমস্তক
ওলট পালট হয়ে মিশে যাই ততক্ষানিক
বড্ড আবেগপরায়ণ ভালবাসার সমীরণে।
রিয়া তোমাকে খুঁজতে প্রেমের গহীন সুরুঙ্গ পথে
আমি চলে যাই মুহূর্তের মধ্যে
আচ্ছাদিত এক নিমজ্জিত বনে।
কিন্তু তালাশি করে দেখি সেই বনে আদৌ
তোমার পায়ের কোন চাপ পড়েনি,
সেখানে আহ্লাদে আহ্লাদে কত আকুতিময় কণ্ঠে
উদাসীনতায়,রিয়া রিয়া বলেছি ,
এদিক ছাড়িয়া ওদিক
মরিয়া হয়ে ছুটেছি!
কভু তোমার কোন শব্দ আমার কানে
বিপরীতে উত্তর হয়ে আসেনি।
বাহ্ এইতো বিরহ কাটা ডালে তোমার আমার সংযুক্ত প্রেম
অবহেলার ছাদনাতলায়,
আজ আমি হেরেছি,খুব জোড় আওয়াজ ছেড়েছি
নিজএকান্তে প্রেমের গলায়।
হয়তো বেশি বেশি তোমাকে পাওয়ার আশায়
স্বপ্ন দেখে আমি সীমালঙ্ঘন করে পেলেছি
তাই ধরার মাঝে তোমার ওষ্ঠ ছুঁতে পারেনি
তবু ও খনিকের জন্য হলেও
আমি হাল ছাড়িনি,
তাই বলে কি তোমার আনন্দঘন জীবন
থেমে আছে রিয়া?
তুমি তোমার মত দিব্যি আছো লোকসম্মুখে
মুক্তোঝড়া পুলকিত হাসি দিয়া।
তবে তুমি এটাও জেনে রেখো রিয়া
আমার জীবনও থেমে থাকবে না "কো"
বাস্তবতার চুড়ান্ত সমীকরণে।
যাই হউক না কেন তুমি আমার অন্তরে
আসন পেতে তবু বসে থাকবে নিতান্তই
কারন আমি যে তোমায় কখনও
ভুলে যেতো পারবো না?
শেষ নিঃস্বাসের উপযুক্ত সময়ে ও
অর্থাৎ নিজ একান্তে আমার মৃত্যু বরণে।
তাই এক নজরে স্মরণে অপলক ভঙ্গিমায়
আবার স্মৃতির দৃশ্যপটে থাকিয়ে চেয়ে দেখলাম
বিরহ কলমে ইতিহাসের পাতায়
ঝাপসা কিছু অক্ষরের লেখা নাম
তোমার আমার ফিরে দেখা সেই প্রেম।
....... মুহাম্মদ জে.এইচ (রপ্পি).......
তারিখ:- ২২/১২/১৭ইং।