* হে ডাক্তার মশাই অসুখ -বিসুখে বিমর্ষ আমি এদিকে পড়ে আছে সর্ব কাজ,
কি হয়েছে চেকাপ করে
বলেন ত মশাই আজ।
খেতে পারি,সব আনারি
তৃপ্তিতে পায় স্বাদ, ঔষধ খেতে বড্ড ভালোই-বাসি
আবার তেতু হলেই কিন্ত বাদ।
ডাক্তার মশাই বলেন,ওগো ঘোষাই
হলো যে তোমার যক্ষা,
ঘোষাই বলেন ওরে বাবা রে...
তবে কি নেই আজ রক্ষা।
মরেই গেলোম,কেন যে এলোম
বলে ঘোষাই একি কান্না,
হরিদাস পালের ছেলে গো আমি
বাড়ি ফিরছি আর না।
ডাক্তার মশাই,আপনি কসাই বলে
ঘোষাই দিলেন গালি,
ডাক্তার মশাই রেগে বললো
ঘোষাই তুমি অহেতুক নাচো খালি।
ঘোষাই বলেন,ওগো মশাই আপনি
নাচা-নাচি দেখলেন কই?
আমার যক্ষা হলো,পরান গেলো
এ কথা কেমনে আমি সই।
ডাক্তার মশাই বললেন,ওগো ঘোষাই
বাড়ি চলেন,
যক্ষাতে কিছুই হয় না!
ঘোষাই বলেন দাদা মরলেন,যক্ষা রোগে
এতেই ত পরান হানি সই না।
মশাই বলেন ঔষধ খাবে তেতুর রসে
বাঁচতে যদি চাও,
ঘোষাই এবার বলো ত দেখি
তেঁতু কি তুমি খাও?
ঘোষাই বলেন তেতুর চেয়ে জীবন দামী
বাঁচতে আমি চাই,
আগে না খেলে ও এখন আমি
তেঁতু ঠিকই খাই।