দেখিনি কভু শুনেছি বটে সাহেব বাবুদের কথা টাট্টু ঘোড়ায় আসতো চড়ে,
খেতো বর্গা চাষীর মাথা।
অল্প জমি বর্গা দিতো দেনা কর্চা ছাড়া
সময় মতে হাজির হতো
ফসল নিবে তারা।
এবার হিসেব কষে,সাহেব বসে
কেমন হলো ফসল,
একটু এদিক হলেই সেদিক
চাষীর নিবে উসল।
ঘামের সাথে দামটা নিতো
চাষীর লোহিত রক্ত,
চাষী মুজুর বলতো হুজুর আমার পিঠের চামটা শক্ত।
হুজুর মারলে মারেন, শুলে চড়াবেন
জমি নিবেন না তবু ,
মাথার উপরে আছে একজনা
তিনিই মোদের প্রভু।
আচ্ছা প্রভু ভক্ত, তবে দে রক্ত
বলিয়া সাহেব মারে যেই,
তখন চাষীর বধু কেঁদে কেঁদে
বাবুর চরনে লুটিলো সেই।
এবার বাবু, চাষীর বউয়ের চুল ধরিয়া
মারলো যখন চর,
তাই দেখিয়া চাষীর বুকে
উঠলো করুণ ঝড়।
উৎকন্ঠায় চাষী কাঁদে বলিয়া
প্রভু তুমি রইলা কই
কাকে দেখাবো আমার আদর্শ কেমনে সেথা সই।
আজও রূপকথাতে লুকিয়ে আছে
এমনি বিরল কথা,
আদাব,সালাম দিয়ে যাচ্ছি
রেখে সাহিত্য পাতা।