* চৈত্রৈ নিখিলের বুকে জমিন ফাঁটা
রৌদ্র মেঘের খেলায়,
উর্বরে চৌচির পুষ্টিকণার গুণ
মৃত্তিকা ঘাসে মেলায়।
দেখি অরণ্যে ফুটে বরণী পুষ্প
বৃক্ষে ফলের মুকুল,
প্রেম সৌহার্দ্যে সখির মন
গাঁথিয়া মালঞ্চ বকুল।
আজ উদাস দেখ কবির মন
প্রেমের দুয়ার খুলে,
চাঞ্চল্যকর বিদ্রুপ, টাট্টায় কেবলি
সখির নামটি তুলে।
সুখের ভেলায় পাল তুলিয়া কবি
বারেক ফিরে চাই,
নকশী মাঠের সবুজ বাঁকের কোণে
সখির পতিত ঠাঁই।
সেই মাঠেতে লীলা করে প্রকৃতি
গগন হেলান দিয়া,
বিহঙ্গ গুঞ্জরা ডাকে অপ্সরা
সখির নামটি নিয়া।
বাতায়নের সোঁ সোঁ ধ্বনিতে
প্রেমের রেওয়াজ চলে,
মেঘের কোলে মেঘ উড়ে যাই
মনের কথা বলে।
নকশী মাঠের সেই পুকুরপাড়ে
স্নান করিতে
সখি যায় নিশ্চুপ,
উষ্ণ দেহে জল তরঙ্গের মোহে
সখি দিয়ে যা ডুব।
আজ কবির মনে মুহু মুহু
বসন্তে কোকিল কুহু কুহু
আসে পুষ্প ঘ্রাণে মৌ রাজা,
কবি ঘন তপস্যায় তিমির অমাবস্যায়
তিতিক্ষায় লুটায় ক্রন্দনে ক্রন্দনে
অশ্রুপাতে তাজা।