* ঐশী কাল ভেংঙ্গে পৃথিবীর সব জল
সর্বনাশা কল্লোলিনী,ঢেউয়ের তীর যতো,
স্বীকারোক্তি শরীরের উজ্জ্বলতায় জমাট বাধা
জ্ঞানপাপ বিদ্যুতের ঐ মতো।
দ্বীপান্তরিত লক্ষ্যে চলমান
আলোকবর্ষ ঘিরে হয়ে অন্ধকারে এক হনুমান!
আমি এক উপাচর পুরুষ ফকির,
জ্যোতিষ্ক জগতে পৃথিবীর পথে
পবিত্রতার মন্ত্র পড়ে
চিন্ময়,কাতরে জিঞ্জির বাধা ঘরে,
আমি মৃগতৃষ্ণাবিষে এক সব্যসাচী।
বুকের চিবুকে বেড়িয়ে আসা ফলা
মন্বন্তরে মৃত্যুর দূত জীবন মরণময়
মোর চেপে ধরোক গলা।
তৃপ্তিহীন তিক্ত স্বাদ মেয়ের প্রেম বিচ্ছেদে
যেন উত্তপ্ত চৈত্রের স্বর,
জীবনের সব গান সুদিনের অবসান
হয়ে গেছে আজ রুক্ষ কালে,
তাণ্ডবলীলায় এক কালবৈশাখী ঝড়।
আমার পাপের গড়া প্রাসাদ নির্বিঘ্নে
ভেঙ্গে গুড়িয়ে যাক,
চেয়ে মুক্তির অবসাদ?
বাণী চিরন্তন শাশ্বতকাল ধরে,
শতাব্দীতে মুমুর্ষূর বিছানায় শুয়ে একবার
অনুশোচনায় স্রষ্টার নামকরণে,
পূর্ণতায়,আমি মৃত্যুর ভয়ঙ্কর রূপে শেষবার
অনায়সে হেটে যেতে রাজি!
জীবন খেলায় উজ্জীবিত হউক প্রাণ
অন্তত মুক্তির শিরোপা পেতে
আমি ত্যাগপূর্বক প্রেম ধরেছি বাজি।